০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 114

 

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবার কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমনে মৃত্যু ঘটলো সুন্দরবনের কুলতলির এক মৎস্যজীবির।বিকল্প কর্মসংস্থান এখনো পর্যন্ত তৈরি না হওয়ায় সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত।স্থানীয় সূএে জানা গেল, সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ী দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটামারী গ্রামের আদিবাসী যুবক দিলীপ সরদার (৩৫),বিপুল সরদার ও রঘু সরদার নামে দুই সঙ্গীকে নিয়ে গত রবিবার সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যায়।শুক্রবার সকালে তাঁরা সুন্দরবনের বেনোফেলির বালিরচর জঙ্গলে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় আচমকাই পিছন থেকে দিলীপের উপর বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী

কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঘ ঐ মৎস্যজীবিকে তুলে নিয়ে যায়।তাঁর দুজন সঙ্গী  চিৎকার চেঁচামেচি ও লাঠি নিয়ে বাঘকে সামনে থেকে তাড়া করলে বাঘ ঐ মৎস্যজীবি কে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।আর তখনই দেরী না করে সঙ্গী মৎস্যজীবির মৃতদেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে।শনিবার সকালে ঐ মৎস্যজীবির মৃতদেহ কুলতলির কাঁটামারি গ্রামের বাড়িতে আসার পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গ্রামে। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী,একটা ১৬ বছরের মেয়ে,১২ বছরের এক ছেলে ও  বৃদ্ধ মা আছে।

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

 

 

একমাএ উপার্জন কারীর মৃত্যুতে শোকে বিভোর সরদার পরিবার।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ বছরে প্রায় ১৫২ জন সুন্দরবনের মৎস্যজীবির উপর বাঘের আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে, তাঁর মধ্যে মারা গেছে শতাধিক।আর এবছর এখনো পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর মধ্যে মারা গেছে এখনো পর্যন্ত ১০ জন।সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত পরিবার দের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে এপিডিআর নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা।এই সংস্থার দঃ২৪ পরগনার জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল এদিন বলেন, বারবার বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটে চলেছে। তাদের পরিবাররা পাচ্ছে না কোনো সরকারি সাহায্য।বিকল্প কর্মসংস্থান যতদিন না তাদের হবে ততদিন এই মৃত্যু মিছিল চলতে থাকবে।অবিলম্বে সরকারের উচিত সুন্দরবনের এই অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার। দ্রুত তাদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা।-

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

 

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবার কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমনে মৃত্যু ঘটলো সুন্দরবনের কুলতলির এক মৎস্যজীবির।বিকল্প কর্মসংস্থান এখনো পর্যন্ত তৈরি না হওয়ায় সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত।স্থানীয় সূএে জানা গেল, সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ী দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটামারী গ্রামের আদিবাসী যুবক দিলীপ সরদার (৩৫),বিপুল সরদার ও রঘু সরদার নামে দুই সঙ্গীকে নিয়ে গত রবিবার সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যায়।শুক্রবার সকালে তাঁরা সুন্দরবনের বেনোফেলির বালিরচর জঙ্গলে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় আচমকাই পিছন থেকে দিলীপের উপর বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী

কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঘ ঐ মৎস্যজীবিকে তুলে নিয়ে যায়।তাঁর দুজন সঙ্গী  চিৎকার চেঁচামেচি ও লাঠি নিয়ে বাঘকে সামনে থেকে তাড়া করলে বাঘ ঐ মৎস্যজীবি কে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।আর তখনই দেরী না করে সঙ্গী মৎস্যজীবির মৃতদেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে।শনিবার সকালে ঐ মৎস্যজীবির মৃতদেহ কুলতলির কাঁটামারি গ্রামের বাড়িতে আসার পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গ্রামে। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী,একটা ১৬ বছরের মেয়ে,১২ বছরের এক ছেলে ও  বৃদ্ধ মা আছে।

সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের কামড়ে মৃত্যু  এক মৎস্যজীবির, শোকের ছায়া পরিবারে

 

 

একমাএ উপার্জন কারীর মৃত্যুতে শোকে বিভোর সরদার পরিবার।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ বছরে প্রায় ১৫২ জন সুন্দরবনের মৎস্যজীবির উপর বাঘের আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে, তাঁর মধ্যে মারা গেছে শতাধিক।আর এবছর এখনো পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর মধ্যে মারা গেছে এখনো পর্যন্ত ১০ জন।সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত পরিবার দের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে এপিডিআর নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা।এই সংস্থার দঃ২৪ পরগনার জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল এদিন বলেন, বারবার বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটে চলেছে। তাদের পরিবাররা পাচ্ছে না কোনো সরকারি সাহায্য।বিকল্প কর্মসংস্থান যতদিন না তাদের হবে ততদিন এই মৃত্যু মিছিল চলতে থাকবে।অবিলম্বে সরকারের উচিত সুন্দরবনের এই অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার। দ্রুত তাদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা।-