২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্ধেক ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 77

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎকেন্দ্র নষ্ট হয়ে গেছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল এ কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেন দাবি করছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রুশ হামলায় দেশের জ্বালানি খাতের অর্ধেকেরও বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন শীতে কিয়েভের বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল এ মন্তব্য করেন। ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের অসামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু ১৫ নভেম্বরেই প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জ্বালানি খাতের প্রায় অর্ধেকের মতো অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে শহরটির পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিয়েভ শহরের প্রশাসনের উপ-প্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক বলেছেন, ‘অবস্থা এখন যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমরা সম্পূর্ণ শাটডাউনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অনেক এলাকায় জরুরি ব্ল্যাকআউটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ৬টি বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, তারা কোনও অসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে না। রুশ সেনা ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং কিছু শিল্প স্থাপনায় হামলার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাশিয়া দাবি করছে, তারা যুদ্ধ বন্ধের জন্য কিয়েভের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা এ আলোচনায় রাজি না হওয়ায় হামলা জোরদার হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Breaking: গোয়ালতোড়ে ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি স্কুল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইলি সেনা

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অর্ধেক ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎকেন্দ্র নষ্ট হয়ে গেছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল এ কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেন দাবি করছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রুশ হামলায় দেশের জ্বালানি খাতের অর্ধেকেরও বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন শীতে কিয়েভের বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল এ মন্তব্য করেন। ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের অসামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু ১৫ নভেম্বরেই প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জ্বালানি খাতের প্রায় অর্ধেকের মতো অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে শহরটির পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিয়েভ শহরের প্রশাসনের উপ-প্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক বলেছেন, ‘অবস্থা এখন যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমরা সম্পূর্ণ শাটডাউনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অনেক এলাকায় জরুরি ব্ল্যাকআউটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ৬টি বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, তারা কোনও অসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে না। রুশ সেনা ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং কিছু শিল্প স্থাপনায় হামলার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাশিয়া দাবি করছে, তারা যুদ্ধ বন্ধের জন্য কিয়েভের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা এ আলোচনায় রাজি না হওয়ায় হামলা জোরদার হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Breaking: গোয়ালতোড়ে ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি স্কুল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইলি সেনা