০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন স্কুলে ফোন  ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমে ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুলে বন্ধ হল মোবাইল ফোনের  ব্যবহার। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে স্কুল  কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে,  স্কুল চত্বরের ১১৪ একর এলাকায় স্মার্টফোনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

 

পড়ুয়া থেকে শিক্ষক  ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দেরও স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে যে সমস্ত ছাত্ররা  বাড়ি থেকে যাতায়াত করে তারা আর ফোন নিয়ে স্কুলে আসছে না। আর যারা বোর্ডিংয়ে থাকে, তারা  স্কুলে এসেই  জমা রাখছে মোবাইল ফোন। প্রয়োজনে  স্কুলের সাধারণ ফোন ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সুফল  হাতেনাতে মিলেছে বলে দাবি  স্কুল কর্তৃপক্ষের।

 

বর্তমানে মোবাইল ছাড়া যেন জীবনযাত্রা স্তব্ধ। খুদে পড়ুয়ারাও মোবাইল ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না। বিশেষত, করোনার সময় থেকেই যেন ছোট্ট ওই ডিজিটাল বাক্সে বন্দি হয়ে গিয়েছে শিশুদের জীবন। পড়াশোনা থেকে গেম খেলা- সবকিছুই ওই মুঠোফোনে বন্দি। তবে এর ফলে ছাত্ররা যে ক্রমশ অসামাজিক হয়ে পড়ছে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রভাব পড়ছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বাক্সটন  স্কুলের শিক্ষকদের।

 

তাই ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা  ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নেয়  স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর কয়েক মাসেই তার সুফল মিলেছে বলে দাবি ওই  স্কুল কর্তৃপক্ষের।   স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ছাত্ররা প্রথমদিকে ক্লাসে অমনোযোগী ছিল। মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায়  প্রথমে সকলে অস্বস্তি বোধ করলেও ধীরে-ধীরে সকলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। মোবাইল ছেড়ে আগের মতো আবার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-খেলায় মেতে উঠেছে খুদেরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মার্কিন স্কুলে ফোন  ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমে ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুলে বন্ধ হল মোবাইল ফোনের  ব্যবহার। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে স্কুল  কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে,  স্কুল চত্বরের ১১৪ একর এলাকায় স্মার্টফোনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

 

পড়ুয়া থেকে শিক্ষক  ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দেরও স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে যে সমস্ত ছাত্ররা  বাড়ি থেকে যাতায়াত করে তারা আর ফোন নিয়ে স্কুলে আসছে না। আর যারা বোর্ডিংয়ে থাকে, তারা  স্কুলে এসেই  জমা রাখছে মোবাইল ফোন। প্রয়োজনে  স্কুলের সাধারণ ফোন ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সুফল  হাতেনাতে মিলেছে বলে দাবি  স্কুল কর্তৃপক্ষের।

 

বর্তমানে মোবাইল ছাড়া যেন জীবনযাত্রা স্তব্ধ। খুদে পড়ুয়ারাও মোবাইল ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না। বিশেষত, করোনার সময় থেকেই যেন ছোট্ট ওই ডিজিটাল বাক্সে বন্দি হয়ে গিয়েছে শিশুদের জীবন। পড়াশোনা থেকে গেম খেলা- সবকিছুই ওই মুঠোফোনে বন্দি। তবে এর ফলে ছাত্ররা যে ক্রমশ অসামাজিক হয়ে পড়ছে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রভাব পড়ছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বাক্সটন  স্কুলের শিক্ষকদের।

 

তাই ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা  ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নেয়  স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর কয়েক মাসেই তার সুফল মিলেছে বলে দাবি ওই  স্কুল কর্তৃপক্ষের।   স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ছাত্ররা প্রথমদিকে ক্লাসে অমনোযোগী ছিল। মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায়  প্রথমে সকলে অস্বস্তি বোধ করলেও ধীরে-ধীরে সকলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। মোবাইল ছেড়ে আগের মতো আবার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-খেলায় মেতে উঠেছে খুদেরা।