১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যপুরী হাইতি, মৃতের সংখ্যা সাত শতাধিক, আহত প্রায় তিন হাজার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২১, সোমবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পে আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুপুরীর চেহারা নিচ্ছে হাইতি। মৃতের সংখ্যা ৭২৪ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা গুলি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৮০০ জন। শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.২।
এর আগে হাইতির জনসুরক্ষা দফতরের প্রধান জেরি চান্ডার জানান, “আমি নিশ্চিত হয়েছি বহু মানুষ মারা গেছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।”
রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের স্থানীয় এক সাংবাদিক জেরেমি ডুপিন আন্তর্জাতিক
সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে ভূকম্পন কেন্দ্র চার ঘণ্টার দূরে হলেও কিছু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ভূকম্পন এলাকায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে অনেক বেশি । বর্তমানে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে এলাকাগুলো।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটিতে এটি সর্বশেষ সঙ্কট। গত মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোসে আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার পর দেশটিতে সঙ্ঘবদ্ধ সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
২০১০ সালে হাইতির ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির আর্থসামাজিক পরিকাঠামো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।

আরও পড়ুন: অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে হাইতির লক্ষাধিক শিশু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যপুরী হাইতি, মৃতের সংখ্যা সাত শতাধিক, আহত প্রায় তিন হাজার

আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পে আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুপুরীর চেহারা নিচ্ছে হাইতি। মৃতের সংখ্যা ৭২৪ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা গুলি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৮০০ জন। শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.২।
এর আগে হাইতির জনসুরক্ষা দফতরের প্রধান জেরি চান্ডার জানান, “আমি নিশ্চিত হয়েছি বহু মানুষ মারা গেছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।”
রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের স্থানীয় এক সাংবাদিক জেরেমি ডুপিন আন্তর্জাতিক
সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে ভূকম্পন কেন্দ্র চার ঘণ্টার দূরে হলেও কিছু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ভূকম্পন এলাকায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে অনেক বেশি । বর্তমানে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে এলাকাগুলো।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটিতে এটি সর্বশেষ সঙ্কট। গত মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোসে আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার পর দেশটিতে সঙ্ঘবদ্ধ সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
২০১০ সালে হাইতির ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির আর্থসামাজিক পরিকাঠামো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।

আরও পড়ুন: অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে হাইতির লক্ষাধিক শিশু