০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্যান কার্ডই ব্যবসার একমাত্র পরিচয়, বাজেটে ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 46

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্যবসা করার একমাত্র পরিচয় হিসেবে গণ্য হবে প্যান কার্ড। এর ফলে উপকৃত হবে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বুধবার বাজেটে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতদিন ব্যবসার ক্ষেত্রে পিএফ, এসিক, প্যান, কর্পোরেট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা ট্যাক্স ডিডাক্সন অ্যাকাউন্ট নাম্বার লাগত। কিন্তু পদ্ধতির সরলীকরণ করে প্যানকেই একমাত্র পরিচয় ঘোষণা করল কেন্দ্র। এতে পরিচয়পত্র নকল করার ঝুঁকি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কমবে ব্যবসায়িক লেনদেনের জটিলতা। খুব সহজেই শুধুমাত্র প্যান কার্ড ব্যবহার করে কাজ সারতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের নানা ক্ষেত্রে কেওয়াইসি’র জন্য সাধারণ পরিচয়পত্র হতে চলেছে প্যান কার্ড। আগে অনেক ধরণের নথি দিতে হত। এবার আর সেই ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্যান কার্ড পেশ করলেই সমস্ত কাজ হয়ে যাবে।  ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্যান কার্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: সাদার পাল্টা কালো, বিজেপি সরকারের কুকীর্তি প্রকাশ কংগ্রেসের

এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, এখন থেকে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির জন্য সমস্ত সরকারি সংস্থার ডিজিটাল লেনদেনের জন্য প্যান কার্ডকেই সাধারণ পরিচয়পত্র হিসাবে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই। প্যান কার্ডই হবে আপনার সিঙ্গল বিজনেস আইডি। এই প্যান কার্ড দিয়ে কোনও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। এই প্যান দিয়েই ব্যবসায়ীরা সহজেই জিএসটি রিটার্ন, লাইসেন্স রিনিউয়ের দাখিল করার মতো এই কাজগুলি সিঙ্গল আইডি দিয়ে সহজেই করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদে বাজেট শুরু, চমকের পথে হাঁটবে কেন্দ্র?

অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্যান কার্ড থাকতেই হবে। সরকারি সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেন এবং ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্যান কার্ডই হবে মূল পরিচয়পত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য ছিল প্যানকে সিঙ্গল উইন্ডো হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসার সব কাজ করা। এবার সেটাই করল কেন্দ্র সরকার।

আরও পড়ুন: লোকসভায় হাঙ্গামার মাঝে জম্মু ও কাশ্মীরের বাজেট পেশ

এই প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘প্যান থাকলে খুব সহজেই কোনও কোম্পানির, তার ডাইরেক্টর, ঠিকানা সম্পর্কে সব তথ্য সরকারের হাতে চলে আসবে। এতে সরকারের ঝামেলা কমবে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্যান কার্ডই ব্যবসার একমাত্র পরিচয়, বাজেটে ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্যবসা করার একমাত্র পরিচয় হিসেবে গণ্য হবে প্যান কার্ড। এর ফলে উপকৃত হবে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বুধবার বাজেটে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতদিন ব্যবসার ক্ষেত্রে পিএফ, এসিক, প্যান, কর্পোরেট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা ট্যাক্স ডিডাক্সন অ্যাকাউন্ট নাম্বার লাগত। কিন্তু পদ্ধতির সরলীকরণ করে প্যানকেই একমাত্র পরিচয় ঘোষণা করল কেন্দ্র। এতে পরিচয়পত্র নকল করার ঝুঁকি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কমবে ব্যবসায়িক লেনদেনের জটিলতা। খুব সহজেই শুধুমাত্র প্যান কার্ড ব্যবহার করে কাজ সারতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের নানা ক্ষেত্রে কেওয়াইসি’র জন্য সাধারণ পরিচয়পত্র হতে চলেছে প্যান কার্ড। আগে অনেক ধরণের নথি দিতে হত। এবার আর সেই ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্যান কার্ড পেশ করলেই সমস্ত কাজ হয়ে যাবে।  ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্যান কার্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: সাদার পাল্টা কালো, বিজেপি সরকারের কুকীর্তি প্রকাশ কংগ্রেসের

এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, এখন থেকে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির জন্য সমস্ত সরকারি সংস্থার ডিজিটাল লেনদেনের জন্য প্যান কার্ডকেই সাধারণ পরিচয়পত্র হিসাবে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই। প্যান কার্ডই হবে আপনার সিঙ্গল বিজনেস আইডি। এই প্যান কার্ড দিয়ে কোনও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। এই প্যান দিয়েই ব্যবসায়ীরা সহজেই জিএসটি রিটার্ন, লাইসেন্স রিনিউয়ের দাখিল করার মতো এই কাজগুলি সিঙ্গল আইডি দিয়ে সহজেই করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদে বাজেট শুরু, চমকের পথে হাঁটবে কেন্দ্র?

অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্যান কার্ড থাকতেই হবে। সরকারি সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেন এবং ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্যান কার্ডই হবে মূল পরিচয়পত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য ছিল প্যানকে সিঙ্গল উইন্ডো হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসার সব কাজ করা। এবার সেটাই করল কেন্দ্র সরকার।

আরও পড়ুন: লোকসভায় হাঙ্গামার মাঝে জম্মু ও কাশ্মীরের বাজেট পেশ

এই প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘প্যান থাকলে খুব সহজেই কোনও কোম্পানির, তার ডাইরেক্টর, ঠিকানা সম্পর্কে সব তথ্য সরকারের হাতে চলে আসবে। এতে সরকারের ঝামেলা কমবে।’