২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবিক মমতা: নবান্নে যাওয়ার পথে  থামলেন ভবানীপুর গার্লসে কথা বললেন  মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 44

 

 

আরও পড়ুন: নবান্ন থেকে মোদির আক্রমণের জবাব দিলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: ২৬-এ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরবে তৃণমূলঃ মমতা

পুবের কলম  প্রতিবেদক: পরীক্ষার্থীরা  তখন অনেকেই  ব্যস্ত শেষমূহুর্তে প্রয়োজনীয় নোটস বা বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে নিতে। এমন সময় ভবানীপুর গার্লস স্কুলের গেটে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। ব্যাপারটা বুঝে নিতে একটু সময়ই লেগে যায় উপস্থিত  পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের।  এরপরেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন সকলেই।

আরও পড়ুন: এবার ‘ পারিবারিক পেনশনে’ নয়া সিন্ধান্ত রাজ্যের, জানুন বিস্তারিত

 

 

একেবারে স্নেহশীল  অভিভাবকের ভূমিকায়  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে যাওয়ার পথে  হটাৎই থামলেন  ভবানীপুর গার্লসের সামনে। কেমন হচ্ছে  পরীক্ষা নিলেন সেই  খোঁজখবর। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের  নাগালে পেয়ে  পরীক্ষার্থীরাও  স্বাভাবিকভাবেই অভিভূত।

 

মঙ্গলবার ছিল জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা।  ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে  শুরু হয়েছে  এ বছরের  মাধ্যমিক পরীক্ষা।  এইদিন  সরাসরি  স্কুলে ঢোকেননি  মুখ্যমন্ত্রী। গেটের  বাইরে  থেকেই তিনি  অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে  কথা বলেন। প্রচন্ড  গরমে পরীক্ষা দিতে  কোন অসুবিধে  হচ্ছে কিনা তারও খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মানবিক রূপ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও  পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন তিনি।  চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, তাই মনের মধ্যে ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক।পরীক্ষার্থীদের একেবারে অভিভাবকের ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন  প্রচন্ড গরম পড়েছে তাই সুস্থ রাখতে হবে শরীর। বেশ কিছু টিপসও দেন তাদের।

তবে একটু অতীতের দিকে তাকালেই দেখা যাবে মানবিক মমতার নানা পরিচয়। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় ২০২২ সালের  জুন মাস। মুখ্যমন্ত্রী তখন উত্তরবঙ্গ সফরে। জুন মাসের ভ্যাপসা গরমে আলিপুরদুয়ারের সভায়  অসুস্থ হয়ে পড়ে  চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মুসকান পরভীন। মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি বিষয়টি। তিনি জলের বোতল ছুঁড়ে দেন। নির্দেশ দেন মুসকান এবং তার মা আরফিনা বিবি
কে মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য। মঞ্চে এয়ারকুলারের হাওয়ায় আস্তে আস্তে সুস্থ বোধ করে  ছোট্ট মেয়েটি।  মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রুপে তখন আপ্লুত মুসকানের পরিবার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মানবিক রূপ বাংলার মানুষের কাছে নতুন নয়। এর আগেও একাধিক সময় তিনি এমনভাবেই এগিয়ে এসেছেন। কখনও গাড়ি থামিয়ে শুনেছেন বাচ্চাদের অনুরোধ, আবার কখনও কোনও গ্রামের বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে গিয়ে খুন্তি ধরেছেন। কখনও চা তৈরি করে খাইয়েছেন, আবার পাহাড়ি পথের ধারে মেয়েদের মোমো বানাতে দেখে তাতেও সামিল হয়েছেন। বাংলার বাইরেও  তাঁর এই পরিচয় পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। খুব সম্প্রতি ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে পান সেজেও খাইয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই মানবিক মমতার ফের আরও একটা দিক দেখা গেল ভবানীপুর গার্লসে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে। ( 336)

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মানবিক মমতা: নবান্নে যাওয়ার পথে  থামলেন ভবানীপুর গার্লসে কথা বললেন  মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: নবান্ন থেকে মোদির আক্রমণের জবাব দিলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: ২৬-এ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরবে তৃণমূলঃ মমতা

পুবের কলম  প্রতিবেদক: পরীক্ষার্থীরা  তখন অনেকেই  ব্যস্ত শেষমূহুর্তে প্রয়োজনীয় নোটস বা বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে নিতে। এমন সময় ভবানীপুর গার্লস স্কুলের গেটে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। ব্যাপারটা বুঝে নিতে একটু সময়ই লেগে যায় উপস্থিত  পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের।  এরপরেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন সকলেই।

আরও পড়ুন: এবার ‘ পারিবারিক পেনশনে’ নয়া সিন্ধান্ত রাজ্যের, জানুন বিস্তারিত

 

 

একেবারে স্নেহশীল  অভিভাবকের ভূমিকায়  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে যাওয়ার পথে  হটাৎই থামলেন  ভবানীপুর গার্লসের সামনে। কেমন হচ্ছে  পরীক্ষা নিলেন সেই  খোঁজখবর। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের  নাগালে পেয়ে  পরীক্ষার্থীরাও  স্বাভাবিকভাবেই অভিভূত।

 

মঙ্গলবার ছিল জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা।  ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে  শুরু হয়েছে  এ বছরের  মাধ্যমিক পরীক্ষা।  এইদিন  সরাসরি  স্কুলে ঢোকেননি  মুখ্যমন্ত্রী। গেটের  বাইরে  থেকেই তিনি  অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে  কথা বলেন। প্রচন্ড  গরমে পরীক্ষা দিতে  কোন অসুবিধে  হচ্ছে কিনা তারও খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মানবিক রূপ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও  পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন তিনি।  চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, তাই মনের মধ্যে ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক।পরীক্ষার্থীদের একেবারে অভিভাবকের ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন  প্রচন্ড গরম পড়েছে তাই সুস্থ রাখতে হবে শরীর। বেশ কিছু টিপসও দেন তাদের।

তবে একটু অতীতের দিকে তাকালেই দেখা যাবে মানবিক মমতার নানা পরিচয়। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় ২০২২ সালের  জুন মাস। মুখ্যমন্ত্রী তখন উত্তরবঙ্গ সফরে। জুন মাসের ভ্যাপসা গরমে আলিপুরদুয়ারের সভায়  অসুস্থ হয়ে পড়ে  চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মুসকান পরভীন। মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি বিষয়টি। তিনি জলের বোতল ছুঁড়ে দেন। নির্দেশ দেন মুসকান এবং তার মা আরফিনা বিবি
কে মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য। মঞ্চে এয়ারকুলারের হাওয়ায় আস্তে আস্তে সুস্থ বোধ করে  ছোট্ট মেয়েটি।  মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রুপে তখন আপ্লুত মুসকানের পরিবার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মানবিক রূপ বাংলার মানুষের কাছে নতুন নয়। এর আগেও একাধিক সময় তিনি এমনভাবেই এগিয়ে এসেছেন। কখনও গাড়ি থামিয়ে শুনেছেন বাচ্চাদের অনুরোধ, আবার কখনও কোনও গ্রামের বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে গিয়ে খুন্তি ধরেছেন। কখনও চা তৈরি করে খাইয়েছেন, আবার পাহাড়ি পথের ধারে মেয়েদের মোমো বানাতে দেখে তাতেও সামিল হয়েছেন। বাংলার বাইরেও  তাঁর এই পরিচয় পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। খুব সম্প্রতি ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে পান সেজেও খাইয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই মানবিক মমতার ফের আরও একটা দিক দেখা গেল ভবানীপুর গার্লসে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে। ( 336)