জেল থেকে বের হয়েই লড়াইয়ের বার্তা নওশাদের

- আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৩, শনিবার
- / 37
পারিজাত মোল্লা: শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্তি পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান নওশাদ । জেল থেকে বেরিয়েই নওশাদের হুঁশিয়ারি, “লড়াই চলবে, লড়াই থামবে না।”
এর পাশাপাশি কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, -‘আমি তাঁর পাশে রয়েছি’।
উল্লেখ্য , গত বৃহস্পতিবার জামিন মঞ্জুর হলেও শুক্রবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাঁর রিলিজ অর্ডার এসে পৌঁছয়নি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। এর ফলে আরও অতিরিক্ত একদিন তাঁকে জেলেই কাটাতে হয়। এরপর শনিবার সকালে প্রয়োজনীয় নথি এসে পৌঁছতেই বিধায়ককে মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রায় ৪২ দিন পর নওশাদ সিদ্দিকি মুক্তি পেলেন। তার সঙ্গে আরও ২১ জন মুক্তি পেয়েছেন আজ।
গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। টানা ৪০ দিন জেলবন্দি থাকতে হয় তাঁকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ আইএসএফ বিধায়ককে জামিনে মুক্তি দেয়।
আদালত রাজ্যকে জানিয়েছে, “পুলিশকে সরাসরি মারতে বলেছেন নওশাদ সিদ্দিকি বা সরাসরি শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় যুক্ত তিনি, এই মর্মে এখনও কোনও ভিডিও ফুটেজ আমরা পাইনি।”
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নওশাদ ও অন্যান্যদের নিঃশর্ত জামিন মঞ্জুর করে। জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাননি নওশাদ সহ অন্যান্যরা। জামিন পাওয়ার পরেও গোটা শুক্রবার জেলেই থাকতে হয়েছিল তাঁদের।
জেল সুপার দেবাশিস ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আইনি জটিলতার কারণে আদালত থেকে কাগজ জেলে এসে পৌঁছায়নি।’
তাই শুক্রবার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যায়নি নওসাদদের। তবে শনিবার সকালেই জেল থেকে মুক্তি পান নওশাদ সহ অন্যান্যরা। গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধেছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই জেলেই ছিলেন তাঁরা।
নওশাদ হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান। হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে। প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে এদিন সকাল থেকেই ছিল আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। ফুরফুরা থেকে এসেছিলেন অনেকেই। অপেক্ষায় ছিলেন কখন বের হবেন তাঁদের প্রিয় নেতা। নওশাদ বের হতেই মালা পরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ওঠে জয়ধ্বনি।
গাড়িতে ওঠার আগে নওশাদ বললেন, ‘জেলের মান উন্নত করতে হবে।’
সেইসঙ্গে লড়াই চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।