শুভেন্দুর সুপারিশে ১৫০ জনের চাকরি! নথি দেখিয়ে তদন্তের দাবি কুণালের

- আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার
- / 11
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার সরাসরি রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারির নাম জড়ালেন তৃণমুলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের যুবনেতাদেরও নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তলব করেছেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ সেলিব্রিটিদেরও।
এসবের মাঝে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । রবিবার নথি দেখিয়ে তাঁর দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সুপারিশে গ্রুপ সি পদে ১৫০ জনের চাকরি হয়েছিল। আইনের বিচারে তাদের মধ্যে ৫৫ জনের চাকরি বাতিলও হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন এখন এই ১৫০ জন কারা? তা জানতে শুভেন্দু অধিকারীকেও তদন্তের আওতায় আনা হোক। দাবি কুণাল ঘোষের।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষাদপ্তরের একাধিক ব্যক্তি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। দুর্নীতির উৎস খুঁজতে গিয়ে একের পর এক সূত্র হাতে আসছে ইডি, সিবিআইয়ের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাতে শাসকদলের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এতে অবশ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। রবিবার কুণাল ঘোষ পালটা বিরোধী দলনেতা নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ তুললেন।
এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু নথিপত্র তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর দাবি, দসম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ৫৫ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সেই ৫৫ জনের চাকরি কিন্তু হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর সুপারিশে। শুধু ৫৫ জন, মোট ১৫০ জনের চাকরির সুপারিশ করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর নির্দেশে, তাঁর ব্যবস্থাপনায় এঁদের চাকরি হয়েছিল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে জড়িত শুভেন্দু অধিকারীও। আমরা বলছি, তাঁকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। এই ১৫০ জন কারা, কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সব খতিয়ে দেখুক সিবিআই, ইডি।’