১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য : প্রধান বিচারপতি  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 37

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানো যাবে না। পুরোনো এই তত্ত্ব নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার ১৬ তম রামনাথ গোয়েঙ্কা অ্যাওয়ার্ডস ফর একসেলেন্স ইন জার্নালিজম এর মঞ্চে প্রধান  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি। ওই মঞ্চেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব ও সংবাদকর্মীদের দায়িত্ব নতুন করে মনে করান তিনি।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। মিডিয়া প্রশ্ন করবে সেটাই স্বাভাবিক  আর এটাই তাদের কাজ। যেকোনো দেশে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে।  সরকারের দায়িত্বের পাশাপাশি সংবাদকর্মীদেরও তাঁদের দায়িত্বের কথা মনে করান তিনি। ডিজিটাল যুগে ভুয়ো খবরের রমরমা সম্পর্কেও সচেতন করান তিনি।  তিনি বলেন, ভুয়ো খবর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। গণতন্ত্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন: হিন্দুদের ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেবেন? ওয়াকফ মামলায় কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে ইঞ্জিনের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, সঠিক সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত উন্নত করে। ডিজিটাল যুগে সঠিক, দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য সাংবাদিকতার পথে হাঁটা, আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই মামলার রায়দানে:  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

এদিন মিডিয়া ট্রায়াল নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, অনেকবার এমন হয়েছে যে আদালত কোনও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার আগেই গণমাধ্যম তাঁকে জনগণের চোখে অপরাধী হিসেবে তুলে ধরেছে। আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি নির্দোষ, সংবাদকর্মীদের এই কথাটা মনে রাখা দরকার। সংবাদকর্মীরা অনেক সময় বিচারপতিদের মন্তব্যের সম্পূর্ণ অংশ তুলে না ধরে খানিকটা অংশ প্রকাশ করেন, এটা অনেক সময় ভুল বার্তা দেয়। এই বিষয়েও সাংবাদিকদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

আরও পড়ুন: কমিশনের অফিস হাইকোর্টে আনবার হুঁশিয়ারি কেন দিলেন প্রধান বিচারপতি?

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য : প্রধান বিচারপতি  

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানো যাবে না। পুরোনো এই তত্ত্ব নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার ১৬ তম রামনাথ গোয়েঙ্কা অ্যাওয়ার্ডস ফর একসেলেন্স ইন জার্নালিজম এর মঞ্চে প্রধান  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি। ওই মঞ্চেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব ও সংবাদকর্মীদের দায়িত্ব নতুন করে মনে করান তিনি।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। মিডিয়া প্রশ্ন করবে সেটাই স্বাভাবিক  আর এটাই তাদের কাজ। যেকোনো দেশে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে।  সরকারের দায়িত্বের পাশাপাশি সংবাদকর্মীদেরও তাঁদের দায়িত্বের কথা মনে করান তিনি। ডিজিটাল যুগে ভুয়ো খবরের রমরমা সম্পর্কেও সচেতন করান তিনি।  তিনি বলেন, ভুয়ো খবর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। গণতন্ত্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন: হিন্দুদের ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেবেন? ওয়াকফ মামলায় কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে ইঞ্জিনের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, সঠিক সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত উন্নত করে। ডিজিটাল যুগে সঠিক, দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য সাংবাদিকতার পথে হাঁটা, আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই মামলার রায়দানে:  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

এদিন মিডিয়া ট্রায়াল নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, অনেকবার এমন হয়েছে যে আদালত কোনও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার আগেই গণমাধ্যম তাঁকে জনগণের চোখে অপরাধী হিসেবে তুলে ধরেছে। আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি নির্দোষ, সংবাদকর্মীদের এই কথাটা মনে রাখা দরকার। সংবাদকর্মীরা অনেক সময় বিচারপতিদের মন্তব্যের সম্পূর্ণ অংশ তুলে না ধরে খানিকটা অংশ প্রকাশ করেন, এটা অনেক সময় ভুল বার্তা দেয়। এই বিষয়েও সাংবাদিকদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

আরও পড়ুন: কমিশনের অফিস হাইকোর্টে আনবার হুঁশিয়ারি কেন দিলেন প্রধান বিচারপতি?