কৌশিক সালুই, বীরভূম:- নিজের দুই কাকার হাতেই গণধর্ষিতা এক আদিবাসী কিশোরী। ন্যক্করজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার আমোদপুর এলাকায়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত করা গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে ও গোপন জবানবন্দীও নেওয়া হয়েছে।
পিতৃমাতৃহীন ১৬ বছরের নির্যাতিতার পিতৃ-মাতৃহীন। কাকাদের আশ্রয়ে সে বড় হতে চেয়েছিল তাদের হাতেই চূড়ান্ত লাঞ্ছনা হতে হল। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার আমোদপুরের হেড়ুয়াডাঙ্গায় আনুমানিক রাত্রি দশটা নাগাদ। বাবা এবং মা মারা যাবার পর কাকা স্বপন হাঁসদার বাড়িতেই থাকত সে।
অভিযোগ অপর আর এক কাকা সোমায় হাঁসদা ও স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় তাদের ভাইজিকে গণধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবার নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে তার পিসি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাঁইথিয়া থানার পুলিশ ২ গুণধর কাকাকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুই অভিযোগ থেকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশের হেফাজত চাওয়া হলে আগামী সোমবার তাদেরকে ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং গোপন জবানবন্দী ও নেওয়া হয়েছে।
সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী সুভাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই কাকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ দিন হেফাজত চাওয়া হলেও আগামী সোমবার দুই অভিযুক্ত ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।