২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজের ভাইকে খুনের মামলায় সিবিআই’এর হাতে গ্রেফতার ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার
  • / 120

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশ। গ্রেফতার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাকা। প্রাক্তন সাংসদ বিবেকানন্দ রেড্ডি খুনের মামলার ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডিকে নিজেদের হেফাজতে নিলেন সিবিআই।

২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ১৫  মার্চ রাতে পুলিভেন্ডুলায় নিজের বাসভবনে বিবেকানন্দ রেড্ডির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অনুমান ছিল । অভিযোগের তীর ছিল ভাই ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডির  দিকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল মুখ্যমন্ত্রীর কাকাকে।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা হল ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে

প্রসঙ্গত, প্রথমে এই মামলার তদন্ত করছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পরে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্র ধরে আটক আরও এক চিকিৎসক

সিবিআইয়ের চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন  নিয়ে রেড্ডি পরিবারের মধ্যে বিরোধ বেধেছিল। বিবেকানন্দ রেড্ডি কাডাপায় লোকসভা থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য অবিনাশ রেড্ডির পরিবর্তে নিজের জন্য বা ওয়াই এস শর্মিলা (মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির বোন) বা ওয়াই এস বিজয়াম্মা (জগন মোহন রেড্ডির মা) জন্য সংসদীয় নির্বাচনের টিকিট চেয়েছিলেন। অবিনাশ রেড্ডির প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিবেকানন্দ রেড্ডি বিরোধিতা করায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ছেলের রাজনৈতিক কেরিয়ারের পথ সাফ করতে তাই ভাইকে খুনের সুপারি দেন ভাস্কর রেড্ডি। সিবিআইয়ের দাবি, বিবেকানন্দ রেড্ডিকে খুন করার জন্য ৪০ কোটি টাকা সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণ: সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের অভিযোগে গ্রেফতার মুসলিম স্কুল শিক্ষক

এদিন সকালেই কাডাপায় মুখ্যমন্ত্রীর কাকা ভাস্কর রেড্ডির বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (চক্রান্ত), ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিজের ভাইকে খুনের মামলায় সিবিআই’এর হাতে গ্রেফতার ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডি

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশ। গ্রেফতার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাকা। প্রাক্তন সাংসদ বিবেকানন্দ রেড্ডি খুনের মামলার ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডিকে নিজেদের হেফাজতে নিলেন সিবিআই।

২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ১৫  মার্চ রাতে পুলিভেন্ডুলায় নিজের বাসভবনে বিবেকানন্দ রেড্ডির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অনুমান ছিল । অভিযোগের তীর ছিল ভাই ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডির  দিকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল মুখ্যমন্ত্রীর কাকাকে।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা হল ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে

প্রসঙ্গত, প্রথমে এই মামলার তদন্ত করছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পরে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্র ধরে আটক আরও এক চিকিৎসক

সিবিআইয়ের চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন  নিয়ে রেড্ডি পরিবারের মধ্যে বিরোধ বেধেছিল। বিবেকানন্দ রেড্ডি কাডাপায় লোকসভা থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য অবিনাশ রেড্ডির পরিবর্তে নিজের জন্য বা ওয়াই এস শর্মিলা (মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির বোন) বা ওয়াই এস বিজয়াম্মা (জগন মোহন রেড্ডির মা) জন্য সংসদীয় নির্বাচনের টিকিট চেয়েছিলেন। অবিনাশ রেড্ডির প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিবেকানন্দ রেড্ডি বিরোধিতা করায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ছেলের রাজনৈতিক কেরিয়ারের পথ সাফ করতে তাই ভাইকে খুনের সুপারি দেন ভাস্কর রেড্ডি। সিবিআইয়ের দাবি, বিবেকানন্দ রেড্ডিকে খুন করার জন্য ৪০ কোটি টাকা সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণ: সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের অভিযোগে গ্রেফতার মুসলিম স্কুল শিক্ষক

এদিন সকালেই কাডাপায় মুখ্যমন্ত্রীর কাকা ভাস্কর রেড্ডির বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (চক্রান্ত), ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।