২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 23

পারিজাত মোল্লা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে গেছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক আরও একটি মামলা। সেই মামলায় গত ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কিত রিপোর্ট তলব করল আদালত।

আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার প্রয়োজনে আনতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে।

আরও পড়ুন: বিচারপতি  গঙ্গোপাধ্যায়ের  একটি নিয়োগ মামলায় সিবিআই – ইডি তদন্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে, ওই প্রার্থীদের জেলা, জাতি, শ্রেণি-সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর কত? তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন:  অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কিভাবে নিয়োগ? শিক্ষকদের তলব হাইকোর্টের

আদালত সূত্রে প্রকাশ গত ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, টেট নেওয়ার পর নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। সেই প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল এই নিয়োগ। সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত চাকরি পরীক্ষার্থীরা কাট অফ ক্লিয়ার করার পরেও চাকরি পাননি বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।

এর আগের শুনানি পর্বে  এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন,  কীভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ হল? আদৌ অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না? সে ব্যাপারে পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করা হয়েছিল। দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে একসঙ্গে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই মামলাতেই এবার প্যানেল সম্পর্কে আরও তথ্য চাইলেন বিচারপতি।

নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে কি রিপোর্ট দেয়?  তার দিকে তাকিয়ে মামলাকারীরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

আপডেট : ৩ মে ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে গেছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক আরও একটি মামলা। সেই মামলায় গত ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কিত রিপোর্ট তলব করল আদালত।

আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার প্রয়োজনে আনতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে।

আরও পড়ুন: বিচারপতি  গঙ্গোপাধ্যায়ের  একটি নিয়োগ মামলায় সিবিআই – ইডি তদন্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে, ওই প্রার্থীদের জেলা, জাতি, শ্রেণি-সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর কত? তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন:  অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কিভাবে নিয়োগ? শিক্ষকদের তলব হাইকোর্টের

আদালত সূত্রে প্রকাশ গত ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, টেট নেওয়ার পর নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। সেই প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল এই নিয়োগ। সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত চাকরি পরীক্ষার্থীরা কাট অফ ক্লিয়ার করার পরেও চাকরি পাননি বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।

এর আগের শুনানি পর্বে  এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন,  কীভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ হল? আদৌ অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না? সে ব্যাপারে পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করা হয়েছিল। দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে একসঙ্গে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই মামলাতেই এবার প্যানেল সম্পর্কে আরও তথ্য চাইলেন বিচারপতি।

নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে কি রিপোর্ট দেয়?  তার দিকে তাকিয়ে মামলাকারীরা।