০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের  নির্দেশ হাইকোর্টের 

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 9

পারিজাত মোল্লা: কালিয়াগঞ্জের নিহত যুবকের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথকভাবে মামলা রুজু হয়েছে। যার মধ্যে নিহতের পরিবারের তরফে মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে।অপর জনস্বার্থ মামলাটি আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে রাজ্য জানালো -‘গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে কালিয়াগঞ্জের যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের (৩৩)। বুধবার  আদালতে রাজ্য জানিয়েছে,-‘  ঘটনার দিন অর্থাত্‍, ২৬ এপ্রিল রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মরক্ষার জন্য দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তবে পুলিশের ছোড়া সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে কি না? তা তদন্তসাপেক্ষ’।

রাজ্যের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, -‘ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি, করতে হবে বিচার বিভাগীয় তদন্তও’। তবে এই ঘটনায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে বিচারপতি মান্থার এর পর্যবেক্ষণ।তবে এই ঘটনায় আদালত এখনই মৃতের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন দেখছে না বলেও স্পষ্ট করেছেন বিচারপতি মান্থার।

আগামী ১২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।গত মঙ্গলবারেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিহতের ভাই মৃণালকান্তি বর্মণ। হাইকোর্টের তরফে সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য,  গত ২১ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এমনিতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। তার মধ্যেই ২৬ এপ্রিল বুধবার রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে তেতে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের চাঁদগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , -‘ রাত দুটো নাগাদ পুলিশের পোশাকে বেশ কয়েক জন একটি গাড়িতে চেপে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে হাজির হন। তিনি সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে প্রথমে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা হয়। তার পর গুলিও চালান পুলিশের উর্দিধারীরা’। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, -‘সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের’।ইতিমধ্যেই মৃত্যুঞ্জয়ের খুনের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এবার সেই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি, বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের  নির্দেশ হাইকোর্টের 

আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: কালিয়াগঞ্জের নিহত যুবকের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথকভাবে মামলা রুজু হয়েছে। যার মধ্যে নিহতের পরিবারের তরফে মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে।অপর জনস্বার্থ মামলাটি আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে রাজ্য জানালো -‘গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে কালিয়াগঞ্জের যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের (৩৩)। বুধবার  আদালতে রাজ্য জানিয়েছে,-‘  ঘটনার দিন অর্থাত্‍, ২৬ এপ্রিল রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মরক্ষার জন্য দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তবে পুলিশের ছোড়া সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে কি না? তা তদন্তসাপেক্ষ’।

রাজ্যের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, -‘ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি, করতে হবে বিচার বিভাগীয় তদন্তও’। তবে এই ঘটনায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে বিচারপতি মান্থার এর পর্যবেক্ষণ।তবে এই ঘটনায় আদালত এখনই মৃতের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন দেখছে না বলেও স্পষ্ট করেছেন বিচারপতি মান্থার।

আগামী ১২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।গত মঙ্গলবারেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিহতের ভাই মৃণালকান্তি বর্মণ। হাইকোর্টের তরফে সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য,  গত ২১ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এমনিতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। তার মধ্যেই ২৬ এপ্রিল বুধবার রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে তেতে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের চাঁদগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , -‘ রাত দুটো নাগাদ পুলিশের পোশাকে বেশ কয়েক জন একটি গাড়িতে চেপে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে হাজির হন। তিনি সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে প্রথমে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা হয়। তার পর গুলিও চালান পুলিশের উর্দিধারীরা’। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, -‘সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের’।ইতিমধ্যেই মৃত্যুঞ্জয়ের খুনের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এবার সেই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি, বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ।