০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্নাটকে যা হয়েছে ২০২৪ লোকসভায় তাই হবে: রাউত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, রবিবার
  • / 127

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ বিজেপির একনায়কতন্ত্রকে পরাজয়ের কারণ বলেছেন, কেউ বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন, কেউ বা বিজেপির দুর্নীতিকেই পরাজয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন। মুখ খুলেছেন উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার সৈনিক তথা রাজসভার সদস্য সঞ্জয় রাউতও।

তিনি বলেন, কর্নাটকের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে একনায়কতন্ত্র এবং স্বেচ্ছাচারিতাকে কীভাবে পরাজিত করা যায়। তিনি আরও বলেন, তবে কর্নাটক তো শুধু ট্রেলার ছিল এখনও গোটা দেশ বাকি রয়েছে। কংগ্রেসের জয়ের অর্থ ভগবান বজরঙ্গবলি কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন বিজেপি হেরে গেলে দাঙ্গা শুরু হবে। কিন্তু কোথায় দাঙ্গা কর্নাটক তো শান্ত। দাঙ্গা কোথায়?

কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পর সপা নেতা অখিলেশ যাদবও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েনি। তিনি বলেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, ধনীদের তোষণ, মহিলা-যুব বিরোধ, মিথ্যা প্রচার, একনায়কতান্ত্রিক রাজনীতির ‘অন্তকাল’ শুরু হয়ে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের এক শক্তিশালী পদক্ষেপ।

এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই ট্রেন্ড ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। বিজেপি রাজস্থান, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। পাওয়ার বলেন, কর্নাটকে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার সুফল পেয়েছে কংগ্রেস।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্নাটকে যা হয়েছে ২০২৪ লোকসভায় তাই হবে: রাউত

আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ বিজেপির একনায়কতন্ত্রকে পরাজয়ের কারণ বলেছেন, কেউ বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন, কেউ বা বিজেপির দুর্নীতিকেই পরাজয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন। মুখ খুলেছেন উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার সৈনিক তথা রাজসভার সদস্য সঞ্জয় রাউতও।

তিনি বলেন, কর্নাটকের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে একনায়কতন্ত্র এবং স্বেচ্ছাচারিতাকে কীভাবে পরাজিত করা যায়। তিনি আরও বলেন, তবে কর্নাটক তো শুধু ট্রেলার ছিল এখনও গোটা দেশ বাকি রয়েছে। কংগ্রেসের জয়ের অর্থ ভগবান বজরঙ্গবলি কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন বিজেপি হেরে গেলে দাঙ্গা শুরু হবে। কিন্তু কোথায় দাঙ্গা কর্নাটক তো শান্ত। দাঙ্গা কোথায়?

কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পর সপা নেতা অখিলেশ যাদবও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েনি। তিনি বলেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, ধনীদের তোষণ, মহিলা-যুব বিরোধ, মিথ্যা প্রচার, একনায়কতান্ত্রিক রাজনীতির ‘অন্তকাল’ শুরু হয়ে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের এক শক্তিশালী পদক্ষেপ।

এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই ট্রেন্ড ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। বিজেপি রাজস্থান, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। পাওয়ার বলেন, কর্নাটকে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার সুফল পেয়েছে কংগ্রেস।