০৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারদা কর্তার তোলাবাজি বিষয়ক চিঠির তদন্ত সিবিআইকে দেখতে নির্দেশ আদালতের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 224

পারিজাত মোল্লা:  এবার সিবিআইয়ের সামনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুর মামলায় ধাক্কা খেলেন  শুভেন্দু। সারদা কর্তার তোলাবাজি বিষয়ক চিঠিতে বিপাকে শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের  মুখপাত্র কুণাল ঘোষের লিখিত  আবেদনে সাড়া দিয়েছেন  বিচারক। জেল হেফাজতে থাকা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের  চিঠি সিবিআইকে  পাঠানোর নির্দেশ সিএমএম আদালতের।

প্রসঙ্গত,  সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী। বুধবার এই মামলার  শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্য নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক।

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

উল্লেখ্য , সম্প্রতি  সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছিলেন যে,  কাঁথি পুরসভা নগদ ও ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল’। কাঁথি পুরসভা এলাকায় সারদা কনক্লেভ প্রকল্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই আবাসন গড়ার জন্য অনুমোদন চাইছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেসময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অনুমোদন পেতে রসিদে ও বিনা রসিদে কাঁথি পুরসভাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতেই উল্লেখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নামও। সেই চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কেন এ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? সে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: পার্থের জামিন মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জানাতে ‘সময়’ নিল সিবিআই

কাঁথি পুরসভায় সারদার একটি ফাইল নিখোঁজ নিয়ে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা গিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশকে।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

সূত্রে প্রকাশ , জেলেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সারদা কর্তাকে। যদিও আগেই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আমি যাতে তৃণমূল না ছাড়ি সেই জন্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আমার সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরদিন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।” জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে আইনী পরামর্শ নিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সারদা কর্তার তোলাবাজি বিষয়ক চিঠির তদন্ত সিবিআইকে দেখতে নির্দেশ আদালতের

আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা:  এবার সিবিআইয়ের সামনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুর মামলায় ধাক্কা খেলেন  শুভেন্দু। সারদা কর্তার তোলাবাজি বিষয়ক চিঠিতে বিপাকে শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের  মুখপাত্র কুণাল ঘোষের লিখিত  আবেদনে সাড়া দিয়েছেন  বিচারক। জেল হেফাজতে থাকা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের  চিঠি সিবিআইকে  পাঠানোর নির্দেশ সিএমএম আদালতের।

প্রসঙ্গত,  সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী। বুধবার এই মামলার  শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্য নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক।

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

উল্লেখ্য , সম্প্রতি  সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছিলেন যে,  কাঁথি পুরসভা নগদ ও ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল’। কাঁথি পুরসভা এলাকায় সারদা কনক্লেভ প্রকল্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই আবাসন গড়ার জন্য অনুমোদন চাইছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেসময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অনুমোদন পেতে রসিদে ও বিনা রসিদে কাঁথি পুরসভাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতেই উল্লেখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নামও। সেই চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কেন এ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? সে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: পার্থের জামিন মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জানাতে ‘সময়’ নিল সিবিআই

কাঁথি পুরসভায় সারদার একটি ফাইল নিখোঁজ নিয়ে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা গিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশকে।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

সূত্রে প্রকাশ , জেলেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সারদা কর্তাকে। যদিও আগেই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আমি যাতে তৃণমূল না ছাড়ি সেই জন্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আমার সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরদিন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।” জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে আইনী পরামর্শ নিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।