২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাদক বাজেয়াপ্ত করল এনসিবি, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে চলত লেনদেন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 20

নয়াদিল্লি, ৬ জুন: মাদক বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৫ হাজার ব্লট (অর্ধেক স্ট্যাম্প-আকারের কাগজের টুকরোটিকে ‘ব্লট’ বলা হয়। এটি বহন করার পাশাপাশি ওষুধ খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা কর্মকর্তাদের ট্র্যাক করা কঠিন করে তোলে) উদ্ধার হয়েছে এলএসডি বা লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথাইলামাইড মাদক। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এনসিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই হাজার কোটি বেশি পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে এই মাদক। লেনদেন চলত ক্রিপ্টোকারেন্সি’ (ডিজিটাল মুদ্রা) ও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে। এলএসডি একটি সিন্থেটিক রাসায়নিক ভিত্তিক ওষুধ এবং এটি হ্যালুসিনোজেন হিসাবেই শ্রেণীবদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই মাদকের কারবার চালানো হত। ক্রেতা আগ্রহ প্রকাশ করলে, কথোপকথনটি ব্যক্তিগত মেসেজিং অ্যাপ ‘উইকার মি’-এ স্থানান্তরিত হত। নেদারল্যান্ড ও পোল্যান্ড থেকে এই মাদক আমদানি করা হত।

আরও পড়ুন: ডার্কওয়েবে নিলাম ৮১ কোটি ভারতীয়র ‘আধার তথ্য’

 

আরও পড়ুন: বড় সাফল্য, এনসিবি ও নৌ-বাহিনীর যৌথ অভিযানে ভারত মহাসাগর থেকে বাজেয়াপ্ত ২৫হাজার কোটি টাকার মাদক

মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এনসিবি ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং বলেন,’ দুটি মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ হাজার ব্লট এলএসডি ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ০.১ গ্রাম পর্যন্ত এলএসডি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কারও কছে যদি এর বেশি পরিমাণ এই সিন্থেটিক হ্যালুসিনোজেনিক মাদক পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট’ বা এনডিপিএস আইনের ধারায় মামলা করতে পারে এনসিবি। এটি একটি সিন্থেটিক ড্রাগ এবং খুবই বিপজ্জনক। গত দুই দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়সড় মাদক বাজেয়াপ্ত করা হল। এই নেটওয়ার্কটি তাদের লেনদেনে ‘ডার্ক নেট’ ব্যবহার করেছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মাধ্যমে চালানো হত মাদক কারবার। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল না। ২.৫ কেজি আমদানি করা মাদকের পাশাপাশি ২৪ লক্ষ ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাদক বাজেয়াপ্ত করল এনসিবি, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে চলত লেনদেন

আপডেট : ৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

নয়াদিল্লি, ৬ জুন: মাদক বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৫ হাজার ব্লট (অর্ধেক স্ট্যাম্প-আকারের কাগজের টুকরোটিকে ‘ব্লট’ বলা হয়। এটি বহন করার পাশাপাশি ওষুধ খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা কর্মকর্তাদের ট্র্যাক করা কঠিন করে তোলে) উদ্ধার হয়েছে এলএসডি বা লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথাইলামাইড মাদক। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এনসিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই হাজার কোটি বেশি পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে এই মাদক। লেনদেন চলত ক্রিপ্টোকারেন্সি’ (ডিজিটাল মুদ্রা) ও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে। এলএসডি একটি সিন্থেটিক রাসায়নিক ভিত্তিক ওষুধ এবং এটি হ্যালুসিনোজেন হিসাবেই শ্রেণীবদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই মাদকের কারবার চালানো হত। ক্রেতা আগ্রহ প্রকাশ করলে, কথোপকথনটি ব্যক্তিগত মেসেজিং অ্যাপ ‘উইকার মি’-এ স্থানান্তরিত হত। নেদারল্যান্ড ও পোল্যান্ড থেকে এই মাদক আমদানি করা হত।

আরও পড়ুন: ডার্কওয়েবে নিলাম ৮১ কোটি ভারতীয়র ‘আধার তথ্য’

 

আরও পড়ুন: বড় সাফল্য, এনসিবি ও নৌ-বাহিনীর যৌথ অভিযানে ভারত মহাসাগর থেকে বাজেয়াপ্ত ২৫হাজার কোটি টাকার মাদক

মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এনসিবি ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং বলেন,’ দুটি মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ হাজার ব্লট এলএসডি ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ০.১ গ্রাম পর্যন্ত এলএসডি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কারও কছে যদি এর বেশি পরিমাণ এই সিন্থেটিক হ্যালুসিনোজেনিক মাদক পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট’ বা এনডিপিএস আইনের ধারায় মামলা করতে পারে এনসিবি। এটি একটি সিন্থেটিক ড্রাগ এবং খুবই বিপজ্জনক। গত দুই দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়সড় মাদক বাজেয়াপ্ত করা হল। এই নেটওয়ার্কটি তাদের লেনদেনে ‘ডার্ক নেট’ ব্যবহার করেছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মাধ্যমে চালানো হত মাদক কারবার। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল না। ২.৫ কেজি আমদানি করা মাদকের পাশাপাশি ২৪ লক্ষ ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট