২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াগঞ্জ মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতি মান্থারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 22

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিটকে অসহযোগিতা করার জন্য রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন কালিয়াগঞ্জের মামলায়। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার সিটের হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটকে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

এদিন এই নিয়ে শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ।বিচারপতি এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে জানান, “পুলিশ কেন সিটকে সাহায্য করছে না ? রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে । এবার সিবিআই দিলে কি খুশি হবেন ? আদালতের কাছে এটা স্পষ্ট যাতে সিট কাজ না করতে পারে, রাজ্য সেই চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে ইচ্ছে করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। যেখানে তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ নেই, সেখানে নির্দেশ মানা রাজ্যের উচিত ছিল।”রাজ্যের এই ধরনের আচরণ দেখে স্বরাষ্ট্র সচিবকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থার।

আরও পড়ুন: বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়নে সহযোগিতা করুক পুলিশ, নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা

বিচারপতি আরও বলেন,  গত ১১ মে তাঁর এজলাসের নির্দেশ অমান্য করেছে রাজ্য সরকার’ । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দময়ন্তী সেনের বদলে অন্য কাউকে সিটের সদস্য করা হবে?  নাকি তাঁকেই রাখা হবে?সে ব্যাপারে আগামী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত’ ।

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জ মামলায় সিট গঠনে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকা দেহ উদ্ধার হয়। নিহত পরিবারের দাবি,  ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ‘। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্য মেলেনি। পরে এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটা সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জ মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিটে দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্ত ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্র বিশ্বাসের থাকার কথা। কিন্তু রাজ্য ইতিমধ্যে দময়ন্তী সেনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি সিটে দায়িত্বগ্রহণ করতেই পারেননি বলে অভিযোগ। তাছাড়া হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সিটের দু’জন সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, ‘যাতায়াতের খরচও দেওয়া হয়নি তাঁদের ‘। রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। এই নিয়ে এ দিন শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কালিয়াগঞ্জ মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতি মান্থারের

আপডেট : ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিটকে অসহযোগিতা করার জন্য রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন কালিয়াগঞ্জের মামলায়। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার সিটের হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটকে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

এদিন এই নিয়ে শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ।বিচারপতি এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে জানান, “পুলিশ কেন সিটকে সাহায্য করছে না ? রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে । এবার সিবিআই দিলে কি খুশি হবেন ? আদালতের কাছে এটা স্পষ্ট যাতে সিট কাজ না করতে পারে, রাজ্য সেই চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে ইচ্ছে করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। যেখানে তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ নেই, সেখানে নির্দেশ মানা রাজ্যের উচিত ছিল।”রাজ্যের এই ধরনের আচরণ দেখে স্বরাষ্ট্র সচিবকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থার।

আরও পড়ুন: বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়নে সহযোগিতা করুক পুলিশ, নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা

বিচারপতি আরও বলেন,  গত ১১ মে তাঁর এজলাসের নির্দেশ অমান্য করেছে রাজ্য সরকার’ । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দময়ন্তী সেনের বদলে অন্য কাউকে সিটের সদস্য করা হবে?  নাকি তাঁকেই রাখা হবে?সে ব্যাপারে আগামী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত’ ।

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জ মামলায় সিট গঠনে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকা দেহ উদ্ধার হয়। নিহত পরিবারের দাবি,  ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ‘। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্য মেলেনি। পরে এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটা সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জ মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিটে দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্ত ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্র বিশ্বাসের থাকার কথা। কিন্তু রাজ্য ইতিমধ্যে দময়ন্তী সেনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি সিটে দায়িত্বগ্রহণ করতেই পারেননি বলে অভিযোগ। তাছাড়া হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সিটের দু’জন সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, ‘যাতায়াতের খরচও দেওয়া হয়নি তাঁদের ‘। রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। এই নিয়ে এ দিন শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।