০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃণমূলকে জয়যুক্ত করার আহ্বান শতাব্দীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 16

পুবের কলম প্রতিবেদক:  দলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের করোনাকালে বিনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার ছিল দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই অঞ্চলে সাংসদ শতাব্দী রায়ের জনসভা। আগত জনগণের সামনেই কোনো রাখঢাক না করেই তিনি বলেন,  যারা করোনাকালের পরীক্ষা না দিয়ে সিক্স থেকে সেভেন,  এইটে পাশ করে গেছিল তাদের মতোই যারা পরীক্ষা না দিয়ে আজ জয়ী,  তারাও পাশ করে গেছে তো পাশ করে গেছে। কিন্তু যারা পরীক্ষা দেবে, তারাও পাশ করে যাবে।

এভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করাকে কার্যত কটাক্ষ করেন সাংসদ। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের এই কথার প্রেক্ষিতে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন,  দিদিমণির বিবেক দংশন শুরু হয়েছে। পুলিশ ও গুণ্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে, তৃণমূলের অনেকেই বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছেন। তারা মানুষের কাছে পরীক্ষা দেয়নি। পরীক্ষা দিলে ফেল করতো এটা সাংসদ জানেন।

সিপিএমের বর্ষীয়ান  নেতা রামচন্দ্র ডোম বলেন, সাংসদ শতাব্দী রায় নতুন এসেছেন, তা তো বলা যাবে না। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। সবটাই জানেন। এখন তাঁর মধ‍্যে অপরাধবোধ কাজ করছে। তাই নিজের অজান্তেই এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেলেছেন। এটা তো সত‍্যি কথাই, করোনাকালের মতোই বিপর্যয় চলছে। ভয় দেখিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া, এক অর্থে পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করা। একাত্তর সালকেও এরা ছাপিয়ে গেছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা এদের মধ‍্যে বেশি।

এদিন চিনপাইয়ে দলীয় সভা থেকে সাংসদ বলেন,  আমাদের দলে যারা ভাবছেন, যারা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরই নাম প্রকাশ‍্যে এসেছে। এটা ভুল। মনে রাখবেন, জগতটা এখন অনেক ছোটো। এখনই আমেরিকায় কাউকে হ‍্যালো বললে, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কাছে প্রতিদিন সকালে আইবি ও পুলিশ রিপোর্ট, পৌঁছায়। তাই যারা পিছন থেকে নির্দল প্রার্থীদের উসকে বলছেন, আমাদের প্রার্থীকে হারা, তারাও দুই মিনিটের মধ‍্যে শাস্তি পাবেন।

এদিন ফের দুবরাজপুরে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ শতাব্দী রায়। পানীয় জল, রাস্তাঘাটের সমস‍্যা এবং বার্ধক‍্যভাতা না পাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীরা সাংসদকে সামনে পেয়ে তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও জনসভায় সাংসদ সেই প্রসঙ্গে বলেন, মনে করে দেখুন, এই সরকারের আগে কবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে সাইকেল পেয়েছিল? কবে জামা জুতো পেয়েছিল? কবে রূপশ্রী পেয়েছিল? কবে উচ্চ শিক্ষার জন‍্য দশ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড পেয়েছিল? পায় নি। তাই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়যুক্ত করুন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তৃণমূলকে জয়যুক্ত করার আহ্বান শতাব্দীর

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  দলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের করোনাকালে বিনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার ছিল দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই অঞ্চলে সাংসদ শতাব্দী রায়ের জনসভা। আগত জনগণের সামনেই কোনো রাখঢাক না করেই তিনি বলেন,  যারা করোনাকালের পরীক্ষা না দিয়ে সিক্স থেকে সেভেন,  এইটে পাশ করে গেছিল তাদের মতোই যারা পরীক্ষা না দিয়ে আজ জয়ী,  তারাও পাশ করে গেছে তো পাশ করে গেছে। কিন্তু যারা পরীক্ষা দেবে, তারাও পাশ করে যাবে।

এভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করাকে কার্যত কটাক্ষ করেন সাংসদ। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের এই কথার প্রেক্ষিতে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন,  দিদিমণির বিবেক দংশন শুরু হয়েছে। পুলিশ ও গুণ্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে, তৃণমূলের অনেকেই বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছেন। তারা মানুষের কাছে পরীক্ষা দেয়নি। পরীক্ষা দিলে ফেল করতো এটা সাংসদ জানেন।

সিপিএমের বর্ষীয়ান  নেতা রামচন্দ্র ডোম বলেন, সাংসদ শতাব্দী রায় নতুন এসেছেন, তা তো বলা যাবে না। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। সবটাই জানেন। এখন তাঁর মধ‍্যে অপরাধবোধ কাজ করছে। তাই নিজের অজান্তেই এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেলেছেন। এটা তো সত‍্যি কথাই, করোনাকালের মতোই বিপর্যয় চলছে। ভয় দেখিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া, এক অর্থে পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করা। একাত্তর সালকেও এরা ছাপিয়ে গেছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা এদের মধ‍্যে বেশি।

এদিন চিনপাইয়ে দলীয় সভা থেকে সাংসদ বলেন,  আমাদের দলে যারা ভাবছেন, যারা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরই নাম প্রকাশ‍্যে এসেছে। এটা ভুল। মনে রাখবেন, জগতটা এখন অনেক ছোটো। এখনই আমেরিকায় কাউকে হ‍্যালো বললে, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কাছে প্রতিদিন সকালে আইবি ও পুলিশ রিপোর্ট, পৌঁছায়। তাই যারা পিছন থেকে নির্দল প্রার্থীদের উসকে বলছেন, আমাদের প্রার্থীকে হারা, তারাও দুই মিনিটের মধ‍্যে শাস্তি পাবেন।

এদিন ফের দুবরাজপুরে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ শতাব্দী রায়। পানীয় জল, রাস্তাঘাটের সমস‍্যা এবং বার্ধক‍্যভাতা না পাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীরা সাংসদকে সামনে পেয়ে তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও জনসভায় সাংসদ সেই প্রসঙ্গে বলেন, মনে করে দেখুন, এই সরকারের আগে কবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে সাইকেল পেয়েছিল? কবে জামা জুতো পেয়েছিল? কবে রূপশ্রী পেয়েছিল? কবে উচ্চ শিক্ষার জন‍্য দশ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড পেয়েছিল? পায় নি। তাই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়যুক্ত করুন।