২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দায়ী কি সিগন্যালিং ত্রুটি!  অভিশপ্ত বালেশ্বর দুর্ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল কমিশনে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 34

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রায় একমাস অতিক্রান্ত অভিশপ্ত বালেশ্বর দুর্ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল  ‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি বোর্ডের কাছে। ‘ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেল কিছু না জানালেও প্রাথমিকভাবে অনুমান, রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটিই গত ২ জুন এতগুলি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি’ ছাড়াও এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক উচ্চপদস্থ রেলের আধিকারিকের বদলি হয়েছে।

ওড়িশার রেল দুর্ঘটনা এই শতাব্দীর অন্যতম বড়সড় দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যতম। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩। এখনও চিকিৎসাধীন বহু মানুষ।  দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি বহু মানুষ। রাতে ঘুমের মধ্যেও তাদের সেই আতঙ্ক তারা করে বেড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারত সবসময় সংযমী ও দায়িত্বশীল থেকেছে: মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে জানালেন জয়শঙ্কর

ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল উচ্চগতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারলে কার্যত উল্টেপাল্টে যায় বগিগুলি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় বহু যাত্রীর। একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হয় বগিগুলি থেকে। লাইনচ্যুত হয় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও।

আরও পড়ুন: বালেশ্বর দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হাওড়া-দিল্লি গ্র্যান্ড কর্ড লাইনের সুরক্ষা ব্যবস্থায় বাড়তি নজরদারি

ঘটনার পর প্রথম থেকেই সঙ্কেত ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্বয়ংক্রিয় সঙ্কেত ব্যবস্থা কি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন কেউ? সেই উত্তর খুঁজতেই তদন্ত করছিল রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন বা সিআরএস। ঘটনাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয় রেল, কেন্দ্র সরকার, ওড়িশা সরকার, বাংলার সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: বালেশ্বর দুর্ঘটনা কাণ্ডে বাংলায় মৃত্যু ১০৩,  কটক হাসপাতালে গিয়ে ঘোষণা মমতার

 



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দায়ী কি সিগন্যালিং ত্রুটি!  অভিশপ্ত বালেশ্বর দুর্ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল কমিশনে

আপডেট : ৩০ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রায় একমাস অতিক্রান্ত অভিশপ্ত বালেশ্বর দুর্ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল  ‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি বোর্ডের কাছে। ‘ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেল কিছু না জানালেও প্রাথমিকভাবে অনুমান, রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটিই গত ২ জুন এতগুলি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি’ ছাড়াও এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক উচ্চপদস্থ রেলের আধিকারিকের বদলি হয়েছে।

ওড়িশার রেল দুর্ঘটনা এই শতাব্দীর অন্যতম বড়সড় দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যতম। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩। এখনও চিকিৎসাধীন বহু মানুষ।  দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি বহু মানুষ। রাতে ঘুমের মধ্যেও তাদের সেই আতঙ্ক তারা করে বেড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারত সবসময় সংযমী ও দায়িত্বশীল থেকেছে: মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে জানালেন জয়শঙ্কর

ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল উচ্চগতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারলে কার্যত উল্টেপাল্টে যায় বগিগুলি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় বহু যাত্রীর। একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হয় বগিগুলি থেকে। লাইনচ্যুত হয় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও।

আরও পড়ুন: বালেশ্বর দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হাওড়া-দিল্লি গ্র্যান্ড কর্ড লাইনের সুরক্ষা ব্যবস্থায় বাড়তি নজরদারি

ঘটনার পর প্রথম থেকেই সঙ্কেত ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্বয়ংক্রিয় সঙ্কেত ব্যবস্থা কি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন কেউ? সেই উত্তর খুঁজতেই তদন্ত করছিল রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন বা সিআরএস। ঘটনাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয় রেল, কেন্দ্র সরকার, ওড়িশা সরকার, বাংলার সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: বালেশ্বর দুর্ঘটনা কাণ্ডে বাংলায় মৃত্যু ১০৩,  কটক হাসপাতালে গিয়ে ঘোষণা মমতার