০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের হকার রাজত্বের মাথাচাড়া, পুরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 23

পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে মডেল হকার জোন তৈরি করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও যত্রতত্র হকার বসার অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে। সম্প্রতি এমনি রিপোর্ট জমা পড়ে নবান্নে। এরপরই কলকাতা পুরসভাকে দ্রুত দখলদারি জায়গা মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। সেই অনুযায়ী টাউনভেন্ডিং কমিটিকে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুত বেআইনিভাবে বসা হকারদের উচ্ছেদ করবে টাউনভেন্ডিং কমিটি।

শহরের হকার সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি একাধিকবার বৈঠকে বসে পুর কর্তৃপক্ষ। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যেসমস্ত হকাররা এক তৃতীয়াংশর বেশি জায়গা দখল করে বসে আছেন সেগুলো প্রথম ছাড়তে হবে। অন্যদিকে, হেরিটেজের সামনের রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে যাঁরা রয়েছে তাদের সেই অংশ ছেড়ে দিতে হবে। তবে হকার উচ্ছেদ নয়! আইন মেনেই করতে হবে ব্যবসা। প্রয়োজনে দেওয়া হবে পুনর্বাসন। হকার পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে নিউমার্কেট, হাতিবাগান ও গড়িয়াহাট এই তিন মার্কেট অঞ্চলকে নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ধরে এগোনো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই মার্কেটে সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেক্ষেত্রে কারা রাস্তায় বসে হকারি করছেন, মূলত তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, যাঁরা ২০১৫ সালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁদের পরিচয় পত্র দেওয়া হবে প্রথম ধাপে। সেই অনুযায়ী মিলবে পুনর্বাসন। এই কাজ শেষ হলে, ২০১৫ সালের পর যাঁরা হকারি করছেন তাঁরা নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপাতত নতুন নাম নথিভুক্ত করা হবে না।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের হকার রাজত্বের মাথাচাড়া, পুরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে মডেল হকার জোন তৈরি করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও যত্রতত্র হকার বসার অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে। সম্প্রতি এমনি রিপোর্ট জমা পড়ে নবান্নে। এরপরই কলকাতা পুরসভাকে দ্রুত দখলদারি জায়গা মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। সেই অনুযায়ী টাউনভেন্ডিং কমিটিকে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুত বেআইনিভাবে বসা হকারদের উচ্ছেদ করবে টাউনভেন্ডিং কমিটি।

শহরের হকার সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি একাধিকবার বৈঠকে বসে পুর কর্তৃপক্ষ। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যেসমস্ত হকাররা এক তৃতীয়াংশর বেশি জায়গা দখল করে বসে আছেন সেগুলো প্রথম ছাড়তে হবে। অন্যদিকে, হেরিটেজের সামনের রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে যাঁরা রয়েছে তাদের সেই অংশ ছেড়ে দিতে হবে। তবে হকার উচ্ছেদ নয়! আইন মেনেই করতে হবে ব্যবসা। প্রয়োজনে দেওয়া হবে পুনর্বাসন। হকার পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে নিউমার্কেট, হাতিবাগান ও গড়িয়াহাট এই তিন মার্কেট অঞ্চলকে নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ধরে এগোনো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই মার্কেটে সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেক্ষেত্রে কারা রাস্তায় বসে হকারি করছেন, মূলত তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, যাঁরা ২০১৫ সালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁদের পরিচয় পত্র দেওয়া হবে প্রথম ধাপে। সেই অনুযায়ী মিলবে পুনর্বাসন। এই কাজ শেষ হলে, ২০১৫ সালের পর যাঁরা হকারি করছেন তাঁরা নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপাতত নতুন নাম নথিভুক্ত করা হবে না।