৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কৃষকরা আমাদের রক্ত-মাংস’, কৃষক আন্দোলনের পক্ষে সুর বিজেপি সাংসদ বরুণের

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘আমাদের রক্তমাংস’ বলে রবিবার বর্ণনা করলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি। সেই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, সরকার ও কৃষক উভয় পক্ষের যাতে সুরাহা হয় সে জন্য পুনরায় এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত সরকারের। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে সরকারি ইন্টার কলেজ ময়দানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (এসকেএম) আয়োজনে হওয়া মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। কৃষকদের থিকথিকে ভিড়ের একটি ভিডিও টুইটারে দিয়ে বরুণ লিখেছেন,”লাখ লাখ কৃষক আজ মুজফফরনগরে প্রতিবাদসভায় যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আমাদেরই রক্তমাংস। তাঁদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণভাবে পুনরায় আলোচনা শুরু করা উচিত। বুঝতে হবে তাঁদের যন্ত্রণা, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি যাতে একটা আপোস হয়।”
উত্তরপ্রদেশে পরের বছরই বিধানসভা নির্বাচন। সেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগেই মহাপঞ্চায়েত গঠন। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু তা বিফলে গিয়েছে। কারণ, নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিলের যে দাবি কৃষকরা রেখেছেন তা মানতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। সরকারের বক্তব্য, যে কোনও জায়গায় কৃষিপণ্য বিক্রি করার সুযোগ দিয়েছে এই নয়া কৃষি আইন। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সরকার এবং ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষি মান্ডিগুলি বলে সরকারের সমালোচনা শুরু হলেও তাতে কর্ণপাত করতে নারাজ কেন্দ্র।

সর্বধিক পাঠিত

বাংলাতেই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ কেনো? কমিশনকে প্রশ্ন অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘কৃষকরা আমাদের রক্ত-মাংস’, কৃষক আন্দোলনের পক্ষে সুর বিজেপি সাংসদ বরুণের

আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘আমাদের রক্তমাংস’ বলে রবিবার বর্ণনা করলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি। সেই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, সরকার ও কৃষক উভয় পক্ষের যাতে সুরাহা হয় সে জন্য পুনরায় এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত সরকারের। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে সরকারি ইন্টার কলেজ ময়দানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (এসকেএম) আয়োজনে হওয়া মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। কৃষকদের থিকথিকে ভিড়ের একটি ভিডিও টুইটারে দিয়ে বরুণ লিখেছেন,”লাখ লাখ কৃষক আজ মুজফফরনগরে প্রতিবাদসভায় যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আমাদেরই রক্তমাংস। তাঁদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণভাবে পুনরায় আলোচনা শুরু করা উচিত। বুঝতে হবে তাঁদের যন্ত্রণা, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি যাতে একটা আপোস হয়।”
উত্তরপ্রদেশে পরের বছরই বিধানসভা নির্বাচন। সেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগেই মহাপঞ্চায়েত গঠন। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু তা বিফলে গিয়েছে। কারণ, নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিলের যে দাবি কৃষকরা রেখেছেন তা মানতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। সরকারের বক্তব্য, যে কোনও জায়গায় কৃষিপণ্য বিক্রি করার সুযোগ দিয়েছে এই নয়া কৃষি আইন। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সরকার এবং ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষি মান্ডিগুলি বলে সরকারের সমালোচনা শুরু হলেও তাতে কর্ণপাত করতে নারাজ কেন্দ্র।