ভোট প্রচারে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে মমতা, ষোলআনা মসজিদের ইমামের থেকে দোয়া নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার
- / 17
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ভবানীপুর উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়েছে আগেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজের মতো করে প্রচার শুরু করেছে। পিছিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তার প্রথম কর্মিসভা করেছেন চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে। সোমবার প্রশাসনিক কাজ সেরে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে গুরুত্বপূর্ণ জনসংযোগের মিটিংয়ে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুসারে, বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করা যাবে না মিছিলও। এই অবস্থায় ছোট ছোট মিটিং ভরসা প্রার্থীদের। সোমবার সেই লক্ষ্যেই পথে নেমে প্রয়োজনীয় জনসংযোগ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভালো-মন্দের খোঁজ খবরও নিলেন তিনি।
এদিন আচমকাই নবান্ন থেকে বেরিয়ে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন এই ওয়ার্ডের প্রচারের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে স্লোগান ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। সেই স্লোগানকে সত্যি করে যেন এদিন মমতা তাদের ঘরের একজন হয়ে ওঠেন। গণসংযোগ কর্মসূচিতে খিদিরপুর ২৫ পল্লীর দুর্গাপুজো যেখানে হয়, সেখানেও কিছুক্ষণ আড্ডা দেন তিনি। এরপর যান ষোলআনা মসজিদে গিয়ে কথা বলেন সেখানে উপস্থিত মানুষের সঙ্গে। এদিন ষোলআনা মসজিদের ইমামের থেকে দোয়া চেয়ে নেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল নেত্রী।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এদিনের প্রচার কৌশল থেকে স্পষ্ট ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে কোনভাবেই হালকাভাবে নিতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে ভোট কৌশল সবক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন দলনেত্রী নিজে। তৃণমূল সূত্রের যতটুকু জানা যাচ্ছে আগামীদিনেও একইভাবে নবান্নের কাজের শেষে মানুষের দরজায় পৌঁছে যেতে পারেন মমতা। মূল লক্ষ্য একটাই, ভবানীপুরে তার জয়ের মার্জিন বাড়িয়ে নেওয়া।