০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিধি সংশোধন রাজস্থান বিধানসভার

জয়পুর: বাল্যবিবাহ সহ বিবাহের বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশনের ২০০৯ সালের আইন সংশোধনের বিল শুক্রবার পাশ হল রাজস্থান বিধানসভায়। এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। আগে কেবলমাত্র জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আধিকারিকের (ডিএমআরও) হাতে ছিল বিয়ের নথিভুক্তিকরণের ক্ষমতা। তবে নয়া বিল সেই ক্ষমতা দিল অতিরিক্ত ডিএমআরও ও ব্লক এমআরওকে। যাইহোক, ২০০৯ সালের আইনের ৮ ধারার সংশোধন নিয়ে বিরোধীদল প্রশ্ন তুলেছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে যে, ২১ বছরের কম বয়সী পাত্র ও ১৮ বছরের কম বয়সী পাত্রীর অভিভাবকরা স্মারকলিপি জমা করতে পারবেন বিয়ের রেজিস্ট্রির ৩০ দিনের মধ্যে।বিরোধী বিধায়ক এর প্রতিবাদ করে বলেছেন যে, এটা এখনই বাতিল করা উচিত। ২০০৯ সালের আইনে একই কথা বলা হয়েছে। শুধু পার্থক্য হল, বর ও কনের বয়স ২১ বছর হওয়ার কথা উল্লেখ করা ছিল। নির্দল বিধায়ক সন্ন্যাম লোধা বলেন যে, এই আইন বাল্যবিবাহকে ন্যায্যতা দান করছে যা ঠিক নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন,”মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে তুলছে এবং বাল্যবিবাহকে পছন্দ করে না তারা। কিন্তু বাল্যবিবাহকে যদি ন্যায্যতা দেওয়া হয় তাহলে দেশের কাছে একটি ভুল বার্তা পাঠানো হবে। গোটা দেশের কাছে অসম্মানিত হবে রাজস্থান বিধানসভা।”
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত লোধা বলেন যে, সারা জীবন ধরে নানা কাজের মধ্য দিয়ে সরকারের একটি প্রগতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গেহলত। আর তাই এমন বিল পাশ হওয়া উচিত নয় এবং রাজ্যের ‘প্রগতিশীল’ ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রয়োজন। বিরোধী দলনেতা গুলাব চন্দ কাটারিয়া বলেন যে, রাজ্য এমন এক বিধি নিয়ে এসেছে যা চাইল্ড ম্যারেজ আইনের বিরোধী। এই আইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহকেই কার্যত উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিধি সংশোধন রাজস্থান বিধানসভার

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

জয়পুর: বাল্যবিবাহ সহ বিবাহের বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশনের ২০০৯ সালের আইন সংশোধনের বিল শুক্রবার পাশ হল রাজস্থান বিধানসভায়। এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। আগে কেবলমাত্র জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আধিকারিকের (ডিএমআরও) হাতে ছিল বিয়ের নথিভুক্তিকরণের ক্ষমতা। তবে নয়া বিল সেই ক্ষমতা দিল অতিরিক্ত ডিএমআরও ও ব্লক এমআরওকে। যাইহোক, ২০০৯ সালের আইনের ৮ ধারার সংশোধন নিয়ে বিরোধীদল প্রশ্ন তুলেছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে যে, ২১ বছরের কম বয়সী পাত্র ও ১৮ বছরের কম বয়সী পাত্রীর অভিভাবকরা স্মারকলিপি জমা করতে পারবেন বিয়ের রেজিস্ট্রির ৩০ দিনের মধ্যে।বিরোধী বিধায়ক এর প্রতিবাদ করে বলেছেন যে, এটা এখনই বাতিল করা উচিত। ২০০৯ সালের আইনে একই কথা বলা হয়েছে। শুধু পার্থক্য হল, বর ও কনের বয়স ২১ বছর হওয়ার কথা উল্লেখ করা ছিল। নির্দল বিধায়ক সন্ন্যাম লোধা বলেন যে, এই আইন বাল্যবিবাহকে ন্যায্যতা দান করছে যা ঠিক নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন,”মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে তুলছে এবং বাল্যবিবাহকে পছন্দ করে না তারা। কিন্তু বাল্যবিবাহকে যদি ন্যায্যতা দেওয়া হয় তাহলে দেশের কাছে একটি ভুল বার্তা পাঠানো হবে। গোটা দেশের কাছে অসম্মানিত হবে রাজস্থান বিধানসভা।”
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত লোধা বলেন যে, সারা জীবন ধরে নানা কাজের মধ্য দিয়ে সরকারের একটি প্রগতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গেহলত। আর তাই এমন বিল পাশ হওয়া উচিত নয় এবং রাজ্যের ‘প্রগতিশীল’ ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রয়োজন। বিরোধী দলনেতা গুলাব চন্দ কাটারিয়া বলেন যে, রাজ্য এমন এক বিধি নিয়ে এসেছে যা চাইল্ড ম্যারেজ আইনের বিরোধী। এই আইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহকেই কার্যত উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।