পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এতদিন তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ দলগুলি বলত বিজেপি দলিত বিরোধী মনুবাদী দল। বিজেপির বহু নেতা তার প্রতিবাদও করেছে। কিন্তু এবার বিজেপিকে দলিত বিরোধী বললেন, তাদের দলেরই সাংসদ রমেশ জিগাজিনাগি। এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এবার লোকসভা ভোটে বিজেপি একা সরকার গড়তে পারেনি। ২৪০ আসনেই আটকে গেছে তারা। এবার শরিকদের মন রাখতে গতবারের থেকে বেশি মন্ত্রিত্ব দিতে হয়েছে বিজেপিকে। ফলে মন্ত্রিত্ব পাননি বিজেপি সাংসদ রমেশ জিগাজিনাগি। এই পরিস্থিতিতে দলিত নেতা তথা বিজেপি সাংসদ রমেশ জিগাজিনাগি বলেন, ‘গোটা দক্ষিণ ভারতে একমাত্র দলিত সাংসদ হিসেবে আমি সাতবার নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সব উঁচু জাতের সদস্যরা মন্ত্রী হয়েছেন। দলিতরা কি বিজেপিকে সমর্থন করেনি? আমি গভীরভাবে মর্মাহত।’
তাঁর এই মন্তব্য শুনে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতা কর্মীরা বলতে শুরু করেছেন মন্ত্রী না করার কারণে গোঁসা হয়েছে তাঁর। সে কারণেই এমন মন্তব্য করছেন। পোড় খাওয়া এই নেতাও জানতেন, বিজেপির লোকজন এমন কথাই বলবে। তাই তিনি নিজের অভিমত স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি নিজের জন্য মন্ত্রিসভায় জায়গা চাইনি। কিন্তু আমি যখন আমার কেন্দ্রে ফিরলাম তখন অনেকে সমালোচনা করেছেন। অনেকেই আমাকে আগে সতর্ক করেছিল যে বিজেপি দলিত বিরোধী।’
যে ভাষায় বিজেপি সাংসদ দলের দলিত বিরোধী মানসিকতার সমালোচনা করেছেন তাতে চাপে পড়েছে দল। এবার বিজেপির হাল ততটা ভালো নয়, এই পরিস্থিতিতে রমেশ যদি কংগ্রেসে চলে যান, তাহলে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে বিজেপিকে। তার উপর বিজেপিকে সরাসরি দলিত বিরোধী মন্তব্যে যথেষ্ট চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে একই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও। আর এবার এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন খোদ বিজেপি সাংসদ নিজেই। সুতরাং একে আর বিরোধীদের অপপ্রচারো বলতে পারছে বিজেপি।
ফোগাটকে অযোগ্য ঘোষণায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী
ওয়াকফ বিল বাতিলের দাবি, দেশজুড়ে 4 কোটির বেশি ইমেল গেল জেপিসিতে
দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী