১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

ঘাড় থেকে একটা বোঝা নামল: নীরজ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 148

শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দোহায় ডায়মন্ড লিগে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করলেন ভারতের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। কিন্তু তাতেও তিনি সোনা পেলেন না। আন্তর্জাতিক জ্যাভলিন যে কতটা বিশ্বমানের হয়েছে, তার প্রমাণ ৯০ মিটার ছুঁড়েও নীরজের সোনা না পাওয়া। অবশ্য পদক থেকে বঞ্চিত হননি তিনি। এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়েও বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনা পেয়েছেন জার্মানির জুলিয়েন ওয়েবার। তবে দ্বিতীয় হয়েও দারুণ খুশি নীরজ। কারণ আজ পর্যন্ত কোনও ভারতীয়ই এর আগে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়তে পারেননি। সেদিক থেকে এই দূরত্ব ছুঁড়ে ভারতীয় হিসেবে এক নয়া নজির গড়েছেন নীরজ চোপড়া। এ দিন নিজের তৃতীয় প্রচেষ্টায় নীরজের ছোঁড়া দূরত্ব ৯০.২৩ মিটার। এর আগে প্যারিস অলিম্পিকে নীরজ ৯০ মিটারের খুব কাছাকাছি শেষ করেছিলেন।

তাই তিনি মরিয়া হয়েছিলেন ৯০ মিটার দূরত্ব ছোঁড়ার জন্য। সেই লক্ষ্যে অবেশেষে তিনি সফল। এতদিন নীরজের সবচেয়ে ভালো স্কোর ছিল ২০২২ সালের স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে। সেখানে তিনি নিজের কেরিয়ারের বেস্ট থ্রো করেছিলেন। তাঁর দূরত্ব ছিল ৮৯.৯৪। কিন্তু এবার সেই নজিরও ছাপিয়ে গিয়েছেন ভারতের সোনার ছেলে।

আরও পড়ুন: শোকাহত প্রধানমন্ত্রী, হাসপাতালে সাক্ষাৎ বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিতের সঙ্গে

আর এমন এক অনবদ্য কীর্তি স্থাপন করার পর ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, ‘এ এক অবিস্মরণীয় কীর্তি! দোহায় ডায়মন্ড লিগ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় নীরজ চোপড়া ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছোঁড়ায় যে নজির তৈরি করেছেন, তার জন্য তাঁকে অভিন¨ন জানাই। এটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ থ্রো। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, দারুণ শৃঙ্খলাপরায়ণতা, ও প্যাশনই তাঁকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভারত আজ এক অন্য উচ্চতায় উঠেছে, নীরজ গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।’

আরও পড়ুন: সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

এদিকে এমন এক সাফল্যের পর নীরজ বলছেন, ‘অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন আমি হয়তো আর কোনও দিনই ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরব না, আমার দ্বারা হয়তো আর কোনও দিনই এই সাফল্য আসবে না। অনেক ভারতীয় মস্তিষ্ক থেকে এই চিন্তা দূরীভূত হয়েছে আজ।’ জবাবটা যেন দেওয়ার জন্যই তৈরি ছিলেন তিনি। তাঁর সপাট উত্তর, ‘২০১৮ সাল থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার লক্ষ্যে ছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সেটা হচ্ছিল না। মানে, ৯০ মিটাররা আর পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা জারি ছিল। কোনও দিন হতাশ হইনি। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। ৮৮ মিটার অনেকবারই ছুঁড়েছি। ৮৯-ও পার করেছি। কিন্তু ৯০? সেই স্বপ্নপূরণ এবার হল। সোনা পেলাম না রুপো, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না।  ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে অনেক। দেশের মানুষের কাছে কিছু তো প্রমাণ করতে পেরেছি। ঘাড় থেকে যেন একটা বোঝা নামল।’

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। বলছেন, ‘আমার চোট এখনও পুরোপুরি সারেনি। কিন্তু এরপরেও আমি আর দূরত্ব অতিক্রম করতে মরিয়া হয়ে রয়েছি।’ নিজের কেরিয়ারের প্রসঙ্গে নীরজ জানালেন , ‘যা চেয়েছি সবই পেয়েছি। ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করা বাকি ছিল, সেটাও করে ফেললাম। আক্ষেপের আর কিছুই নেই। চেষ্টা করছি। দেখছি আর কত দিন দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারি।’

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

ঘাড় থেকে একটা বোঝা নামল: নীরজ

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার

শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দোহায় ডায়মন্ড লিগে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করলেন ভারতের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। কিন্তু তাতেও তিনি সোনা পেলেন না। আন্তর্জাতিক জ্যাভলিন যে কতটা বিশ্বমানের হয়েছে, তার প্রমাণ ৯০ মিটার ছুঁড়েও নীরজের সোনা না পাওয়া। অবশ্য পদক থেকে বঞ্চিত হননি তিনি। এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়েও বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনা পেয়েছেন জার্মানির জুলিয়েন ওয়েবার। তবে দ্বিতীয় হয়েও দারুণ খুশি নীরজ। কারণ আজ পর্যন্ত কোনও ভারতীয়ই এর আগে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়তে পারেননি। সেদিক থেকে এই দূরত্ব ছুঁড়ে ভারতীয় হিসেবে এক নয়া নজির গড়েছেন নীরজ চোপড়া। এ দিন নিজের তৃতীয় প্রচেষ্টায় নীরজের ছোঁড়া দূরত্ব ৯০.২৩ মিটার। এর আগে প্যারিস অলিম্পিকে নীরজ ৯০ মিটারের খুব কাছাকাছি শেষ করেছিলেন।

তাই তিনি মরিয়া হয়েছিলেন ৯০ মিটার দূরত্ব ছোঁড়ার জন্য। সেই লক্ষ্যে অবেশেষে তিনি সফল। এতদিন নীরজের সবচেয়ে ভালো স্কোর ছিল ২০২২ সালের স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে। সেখানে তিনি নিজের কেরিয়ারের বেস্ট থ্রো করেছিলেন। তাঁর দূরত্ব ছিল ৮৯.৯৪। কিন্তু এবার সেই নজিরও ছাপিয়ে গিয়েছেন ভারতের সোনার ছেলে।

আরও পড়ুন: শোকাহত প্রধানমন্ত্রী, হাসপাতালে সাক্ষাৎ বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিতের সঙ্গে

আর এমন এক অনবদ্য কীর্তি স্থাপন করার পর ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, ‘এ এক অবিস্মরণীয় কীর্তি! দোহায় ডায়মন্ড লিগ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় নীরজ চোপড়া ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছোঁড়ায় যে নজির তৈরি করেছেন, তার জন্য তাঁকে অভিন¨ন জানাই। এটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ থ্রো। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, দারুণ শৃঙ্খলাপরায়ণতা, ও প্যাশনই তাঁকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভারত আজ এক অন্য উচ্চতায় উঠেছে, নীরজ গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।’

আরও পড়ুন: সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

এদিকে এমন এক সাফল্যের পর নীরজ বলছেন, ‘অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন আমি হয়তো আর কোনও দিনই ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরব না, আমার দ্বারা হয়তো আর কোনও দিনই এই সাফল্য আসবে না। অনেক ভারতীয় মস্তিষ্ক থেকে এই চিন্তা দূরীভূত হয়েছে আজ।’ জবাবটা যেন দেওয়ার জন্যই তৈরি ছিলেন তিনি। তাঁর সপাট উত্তর, ‘২০১৮ সাল থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার লক্ষ্যে ছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সেটা হচ্ছিল না। মানে, ৯০ মিটাররা আর পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা জারি ছিল। কোনও দিন হতাশ হইনি। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। ৮৮ মিটার অনেকবারই ছুঁড়েছি। ৮৯-ও পার করেছি। কিন্তু ৯০? সেই স্বপ্নপূরণ এবার হল। সোনা পেলাম না রুপো, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না।  ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে অনেক। দেশের মানুষের কাছে কিছু তো প্রমাণ করতে পেরেছি। ঘাড় থেকে যেন একটা বোঝা নামল।’

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। বলছেন, ‘আমার চোট এখনও পুরোপুরি সারেনি। কিন্তু এরপরেও আমি আর দূরত্ব অতিক্রম করতে মরিয়া হয়ে রয়েছি।’ নিজের কেরিয়ারের প্রসঙ্গে নীরজ জানালেন , ‘যা চেয়েছি সবই পেয়েছি। ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করা বাকি ছিল, সেটাও করে ফেললাম। আক্ষেপের আর কিছুই নেই। চেষ্টা করছি। দেখছি আর কত দিন দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারি।’