২৯ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইন কলেজের পর আইআইএম জোকা, হস্টেলে তরুণীকে ডেকে ‘ধর্ষণ’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 137

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: আইন কলজের গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ( আইআইএম জোকা) হস্টেলে যৌন নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আইআইএম কলকাতার জোকা ক্যাম্পাসের বয়েজ হস্টেলে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ওই রাতেই সংলগ্ন

হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম পরমানন্দ তোপ্পাঁওয়ার। কর্নাটকের বাসিন্দা সে।

আরও পড়ুন: আদালতে গরহাজির আইআইএম জোকার নির্যাতিতা

 

আরও পড়ুন: আইআইএম জোকা কাণ্ডে সিট গঠন

পুলিশি অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সঙ্গে সোস্যাল সাইটে পরিচয় হয় তার। এদিন সন্ধ্যায় ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে তাঁকে বয়েজ হস্টেলে ডাকেন অভিযুক্ত ছাত্র। নির্যাতিতা গেলে তাঁকে পিৎজা এবং জল খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ার পর পরই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থাতে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: আইআইএম জোকা ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য, অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গ্রেফতার

 

জ্ঞান ফেরার পরে তিনি দেখেন, তিনি বয়েজ হস্টেলেই রয়েছেন। ঘটনার পর প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। পরে সেখান থেকে হরিদেবপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুক্রবার গভীর রাতে। তার আগে নির্যাতিতা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

 

এই প্রেক্ষিতে আইআইএম কলকাতার জোকা ক্যাম্পাসের এক প্রাক্তনী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বয়েজ বা গার্লস হস্টেলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ঘর রয়েছে। আলাদা করে নজরদারির ব্যবস্থা নেই। এমনকী, ওয়ার্ডেন বা সুপারভাইজারও নেই। আর মদ্যপান তো নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা।

 

এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলেজ ক্যাম্পসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরা। তোলা হয় স্লোগান। বিক্ষোভ সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীদের। কংগ্রেসের দাবি, ‘এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। দোষীদের দ্রুত কঠোর শাস্তির আবেদন জানান।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইন কলেজের পর আইআইএম জোকা, হস্টেলে তরুণীকে ডেকে ‘ধর্ষণ’

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: আইন কলজের গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ( আইআইএম জোকা) হস্টেলে যৌন নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আইআইএম কলকাতার জোকা ক্যাম্পাসের বয়েজ হস্টেলে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ওই রাতেই সংলগ্ন

হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম পরমানন্দ তোপ্পাঁওয়ার। কর্নাটকের বাসিন্দা সে।

আরও পড়ুন: আদালতে গরহাজির আইআইএম জোকার নির্যাতিতা

 

আরও পড়ুন: আইআইএম জোকা কাণ্ডে সিট গঠন

পুলিশি অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সঙ্গে সোস্যাল সাইটে পরিচয় হয় তার। এদিন সন্ধ্যায় ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে তাঁকে বয়েজ হস্টেলে ডাকেন অভিযুক্ত ছাত্র। নির্যাতিতা গেলে তাঁকে পিৎজা এবং জল খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ার পর পরই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থাতে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: আইআইএম জোকা ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য, অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গ্রেফতার

 

জ্ঞান ফেরার পরে তিনি দেখেন, তিনি বয়েজ হস্টেলেই রয়েছেন। ঘটনার পর প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। পরে সেখান থেকে হরিদেবপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুক্রবার গভীর রাতে। তার আগে নির্যাতিতা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

 

এই প্রেক্ষিতে আইআইএম কলকাতার জোকা ক্যাম্পাসের এক প্রাক্তনী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বয়েজ বা গার্লস হস্টেলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ঘর রয়েছে। আলাদা করে নজরদারির ব্যবস্থা নেই। এমনকী, ওয়ার্ডেন বা সুপারভাইজারও নেই। আর মদ্যপান তো নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা।

 

এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলেজ ক্যাম্পসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরা। তোলা হয় স্লোগান। বিক্ষোভ সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীদের। কংগ্রেসের দাবি, ‘এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। দোষীদের দ্রুত কঠোর শাস্তির আবেদন জানান।