১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

ইন্তেকাল করলেন আবদুর রেজ্জাক মোল্লা ( ইন্না লিল্লাহি) 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 287

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  ইন্তেকাল করলেন আবদুর রেজ্জাক মোল্লা ( ইন্না লিল্লাহি) । মৃত্যুকালে বয়স হয়ে ছিল ৮০। ভাঙড়ের বাকড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতেই শুক্রবার সকালে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন । সক্রিয় রাজনীতি থেকেও দূরেই ছিলেন।  ‘চাষার ব্যাটা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। বাম আমলে আবদুর রেজ্জাক মোল্লা রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা।নিজেকে ‘চাষার ব্যাটা’ বলে পরিচয় দিতে ভালবাসতেন।

এরপর ১৯৭৭ সালেও ভোটে দাঁড়ান তিনি। এবারের কেন্দ্র ক্যানিং পূর্ব। সেখানেও জেতেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রী করে রাজ্যের তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার।  তিনি প্রথম বার মন্ত্রী হন ১৯৮২ সালে। বামফ্রন্টের ভূমি সংস্কার দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। পদ হারানোর পরেও দীর্ঘ দিন তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে মাঝে দল-বিরোধী পদক্ষেপের অভিযোগে  সিপিএম থেকে  বহিষ্কার করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। ২০১৪ সালে বহিষ্কার হন তিনি। তারপর ২০১৪ সালেই ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি (বিএনপি) নতুন দল তৈরি করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল হওয়ায় দলের নজরে ক্রমশই যোগ্যতা হারান তিনি। অবশেষে ২০১৬ সালে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১৬-তেই ভাঙড় থেকে প্রার্থী হন তিনি। নির্বাচন জেতেনও। ছিলেন ২০২১ সাল পর্যন্ত।

বলা বাহুল্য,  কলেজে পড়াশোনা করার  সময় বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন রেজ্জাক। পরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। ক্রমান্বয়ে রাজ্য সিপিএমের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হন।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘আমার সহকর্মী, আবদুর রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম।  তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক জীবনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল।

 

 

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

ইন্তেকাল করলেন আবদুর রেজ্জাক মোল্লা ( ইন্না লিল্লাহি) 

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  ইন্তেকাল করলেন আবদুর রেজ্জাক মোল্লা ( ইন্না লিল্লাহি) । মৃত্যুকালে বয়স হয়ে ছিল ৮০। ভাঙড়ের বাকড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতেই শুক্রবার সকালে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন । সক্রিয় রাজনীতি থেকেও দূরেই ছিলেন।  ‘চাষার ব্যাটা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। বাম আমলে আবদুর রেজ্জাক মোল্লা রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা।নিজেকে ‘চাষার ব্যাটা’ বলে পরিচয় দিতে ভালবাসতেন।

এরপর ১৯৭৭ সালেও ভোটে দাঁড়ান তিনি। এবারের কেন্দ্র ক্যানিং পূর্ব। সেখানেও জেতেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রী করে রাজ্যের তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার।  তিনি প্রথম বার মন্ত্রী হন ১৯৮২ সালে। বামফ্রন্টের ভূমি সংস্কার দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। পদ হারানোর পরেও দীর্ঘ দিন তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে মাঝে দল-বিরোধী পদক্ষেপের অভিযোগে  সিপিএম থেকে  বহিষ্কার করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। ২০১৪ সালে বহিষ্কার হন তিনি। তারপর ২০১৪ সালেই ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি (বিএনপি) নতুন দল তৈরি করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল হওয়ায় দলের নজরে ক্রমশই যোগ্যতা হারান তিনি। অবশেষে ২০১৬ সালে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১৬-তেই ভাঙড় থেকে প্রার্থী হন তিনি। নির্বাচন জেতেনও। ছিলেন ২০২১ সাল পর্যন্ত।

বলা বাহুল্য,  কলেজে পড়াশোনা করার  সময় বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন রেজ্জাক। পরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। ক্রমান্বয়ে রাজ্য সিপিএমের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হন।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘আমার সহকর্মী, আবদুর রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম।  তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক জীবনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল।