২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরবড়ে সাঁকোর জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা, পাকা কালভার্টের দাবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 79

শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা: এবছর বর্ষায় ঝোরা দিয়ে প্রবাহিত হওয়া জলের তোড়ে ভেঙে যায় গ্রামের রাস্তার ওপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ একটি কালভার্ট ও তার গার্ডওয়াল । কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক সহযোগিতায় ওই কালভার্টের ওপর সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তবে মাস তিনেক যেতে না যেতেই নড়বড়ে হয়ে পড়ে সাঁকোটি।

 

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

স্থানীয়দের অভিযোগ, নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া ও বয়স্ক ব্যক্তিরা দুর্ঘটনার মুখে পড়ছেন। রাতের অন্ধকারে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়া এলাকার ঘটনা। নড়বড়ে এই বাঁশের সাঁকোর পাশাপাশি গার্ডওয়ালটি ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো লাগোয়া একটি বাড়ি ও ভাঙনের মুখে রয়েছে। বর্ষার আগে গার্ডওয়াল তৈরি না হলে সেই বাড়িটিও ভাঙনের কবলে পড়বে।

আরও পড়ুন: হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে ধনখড়কে: বিস্ফোরক দাবি কল্যাণের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানও একদিন হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হবে! দাবি স্বঘোষিত ধর্মগুরু আচার্য ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর

স্থানীয়দের অভিযোগ, নড়বড়ে এই সাঁকোর বদলে স্থায়ী কালভার্ট ও নতুন গার্ডওয়াল তৈরি ব্যাপারে বার বার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান কে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। দ্রুত পাকা কালভার্ট ও গার্ডওয়ালের দাবি তুলেছেন তারা।

 

এবছর বর্ষায় সাঁকোয়াঝোরা -১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধানপাড়ায় নবকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝোরার ওপর নির্মিত একটি কালভার্টের দুপাশের মাটি ধ্বসে গিয়ে সেটি বসে যায়। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আপদকালীন ভিত্তিতে সেটিকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটি ভেঙে যায়। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক সহযোগিতায় সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। তবে কিছুদিন পর সেটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সাঁকো নরবড়ে হয়ে যাওয়ার কারনে ওই এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা জবা রায়, জগন্নাথ রায় বলেন, ‘ কিছুদিন আগে একটি ছাত্র ও শনিবার এক বয়স্কা মহিলা এই সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে ঝোরার মধ্যে পড়ে যান। বহু মানুষকে এই সাঁকো পারাপার করে কাজে যেতে হয়। রাতের অন্ধকারে এই সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান কে আমাদের অসুবিধার কথা বার বার জানিয়েছি কিন্তু কেউ কথা শোনে নি। আমরা চাই এখানে পাকা কালভার্ট নির্মাণ করা হোক। ’ রতন রায় জানান, ‘ কালভার্টের পাশেই আমার বাড়ি। এবার বর্ষায় কালভার্টের পাশাপাশি গার্ডওয়াল ও ভেঙে যায় । যে কারনে আমাদের বাড়ির মাটি ধ্বসে যাচ্ছে। বর্ষার আগে এই গার্ড ওয়াল তৈরি না হলে আমার বাড়ি ভেসে যাবে। ’

 

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপালী রায় জানান, ‘ আগামী কাজের প্ল্যানে এই কালভার্ট নির্মাণ এর কাজটি আমি ধরে রেখেছি। এই বিষয়ে আমি প্রধান কে জানিয়েছি। কাজটি হোক সেটি আমিও চাই ।

 

যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও বলেন, ‘ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহায্যে ওখানে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ওখানকার পঞ্চায়েত সধস্য ও গ্রামবাসি কেউই আমাকে এই সমস্যার কথা জানায়নি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অ্যাকশন প্ল্যানে কাজটি তোলেননি । সামনের অর্থবর্ষে কাজটি করা হবে। ’

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নরবড়ে সাঁকোর জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা, পাকা কালভার্টের দাবি

আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা: এবছর বর্ষায় ঝোরা দিয়ে প্রবাহিত হওয়া জলের তোড়ে ভেঙে যায় গ্রামের রাস্তার ওপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ একটি কালভার্ট ও তার গার্ডওয়াল । কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক সহযোগিতায় ওই কালভার্টের ওপর সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তবে মাস তিনেক যেতে না যেতেই নড়বড়ে হয়ে পড়ে সাঁকোটি।

 

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

স্থানীয়দের অভিযোগ, নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া ও বয়স্ক ব্যক্তিরা দুর্ঘটনার মুখে পড়ছেন। রাতের অন্ধকারে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়া এলাকার ঘটনা। নড়বড়ে এই বাঁশের সাঁকোর পাশাপাশি গার্ডওয়ালটি ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো লাগোয়া একটি বাড়ি ও ভাঙনের মুখে রয়েছে। বর্ষার আগে গার্ডওয়াল তৈরি না হলে সেই বাড়িটিও ভাঙনের কবলে পড়বে।

আরও পড়ুন: হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে ধনখড়কে: বিস্ফোরক দাবি কল্যাণের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানও একদিন হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হবে! দাবি স্বঘোষিত ধর্মগুরু আচার্য ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর

স্থানীয়দের অভিযোগ, নড়বড়ে এই সাঁকোর বদলে স্থায়ী কালভার্ট ও নতুন গার্ডওয়াল তৈরি ব্যাপারে বার বার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান কে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। দ্রুত পাকা কালভার্ট ও গার্ডওয়ালের দাবি তুলেছেন তারা।

 

এবছর বর্ষায় সাঁকোয়াঝোরা -১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধানপাড়ায় নবকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝোরার ওপর নির্মিত একটি কালভার্টের দুপাশের মাটি ধ্বসে গিয়ে সেটি বসে যায়। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আপদকালীন ভিত্তিতে সেটিকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটি ভেঙে যায়। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক সহযোগিতায় সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। তবে কিছুদিন পর সেটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সাঁকো নরবড়ে হয়ে যাওয়ার কারনে ওই এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা জবা রায়, জগন্নাথ রায় বলেন, ‘ কিছুদিন আগে একটি ছাত্র ও শনিবার এক বয়স্কা মহিলা এই সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে ঝোরার মধ্যে পড়ে যান। বহু মানুষকে এই সাঁকো পারাপার করে কাজে যেতে হয়। রাতের অন্ধকারে এই সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান কে আমাদের অসুবিধার কথা বার বার জানিয়েছি কিন্তু কেউ কথা শোনে নি। আমরা চাই এখানে পাকা কালভার্ট নির্মাণ করা হোক। ’ রতন রায় জানান, ‘ কালভার্টের পাশেই আমার বাড়ি। এবার বর্ষায় কালভার্টের পাশাপাশি গার্ডওয়াল ও ভেঙে যায় । যে কারনে আমাদের বাড়ির মাটি ধ্বসে যাচ্ছে। বর্ষার আগে এই গার্ড ওয়াল তৈরি না হলে আমার বাড়ি ভেসে যাবে। ’

 

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপালী রায় জানান, ‘ আগামী কাজের প্ল্যানে এই কালভার্ট নির্মাণ এর কাজটি আমি ধরে রেখেছি। এই বিষয়ে আমি প্রধান কে জানিয়েছি। কাজটি হোক সেটি আমিও চাই ।

 

যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও বলেন, ‘ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহায্যে ওখানে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ওখানকার পঞ্চায়েত সধস্য ও গ্রামবাসি কেউই আমাকে এই সমস্যার কথা জানায়নি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অ্যাকশন প্ল্যানে কাজটি তোলেননি । সামনের অর্থবর্ষে কাজটি করা হবে। ’