১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকন্যাকে বহুতল থেকে ফেলে খুনের অভিযোগ  মায়ের বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য এলাকায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 100

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যাসন্তানকে খুন করার অভিযোগ চিকিৎসক মায়ের বিরুদ্ধে।বহুতল আবাসনের চার তলা থেকে ওই শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেন মা।এরপর নিজেও বারান্দার রেলিং-এ উঠে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে টেনে নামিয়ে দেয়।গত বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর এসআর নগরে।

 

আরও পড়ুন: শিশুকন্যা খুনে রণক্ষেত্র বন্ডেল গেট থেকে শিয়ালদহ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

উল্লেখ্য,হত্যাকারী মা পেশাই দন্ত চিকিৎসক।ওই মহিলার নাম সুষমা ভরদ্বাজ।এবং তাঁর স্বামী একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।মেয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন মা।এরপর হঠাৎ করেই রেলিং থেকে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর,অবসাদের জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই মহিলা। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনারকে তারপিন তেল ঢেলে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

 

আরও পড়ুন: রাগের বশে স্ত্রীকে ১০ বার কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে   

মহিলাকে উদ্ধার করে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই মাকে  গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০৭ ধারায় (খুন)এর মামলা দায়ের করেছে।  এই প্রসঙ্গে, ডিসিপি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, শিশুটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিল এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ছিল।সুষমা নামক ওই মহিলা দুই মাস আগে একটি রেলস্টেশনে ওই শিশুটিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।তবে সেই সময় উনি সফল হননি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীর বায়ান অনুযায়ী, বাচ্চাটিকে পরে থাকতে দেখে  তিনি সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি  রিসাসিটেশন) দ্বারা শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু তাই করেছি যা আমি জানতাম।আমি সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিল।  অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করার পরিবর্তে,আমি শিশুটিকে একটি কম্বলে জড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

 

কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর। এটি একটি জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কৌশল। হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও কৃত্রিমভাবে তা কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করাকে সিপিআর বলা হয় পুলিশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান,আমি ওই মুহূর্তে জানতাম না বাচ্চাটা কার।ওই মুহূর্তে যেটা সঠিক মনে হয়েছে আমি তাই করেছি।যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্তও বাচ্চাটি বেঁচে ছিল, পরে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকন্যাকে বহুতল থেকে ফেলে খুনের অভিযোগ  মায়ের বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য এলাকায়

আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যাসন্তানকে খুন করার অভিযোগ চিকিৎসক মায়ের বিরুদ্ধে।বহুতল আবাসনের চার তলা থেকে ওই শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেন মা।এরপর নিজেও বারান্দার রেলিং-এ উঠে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে টেনে নামিয়ে দেয়।গত বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর এসআর নগরে।

 

আরও পড়ুন: শিশুকন্যা খুনে রণক্ষেত্র বন্ডেল গেট থেকে শিয়ালদহ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

উল্লেখ্য,হত্যাকারী মা পেশাই দন্ত চিকিৎসক।ওই মহিলার নাম সুষমা ভরদ্বাজ।এবং তাঁর স্বামী একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।মেয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন মা।এরপর হঠাৎ করেই রেলিং থেকে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর,অবসাদের জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই মহিলা। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনারকে তারপিন তেল ঢেলে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

 

আরও পড়ুন: রাগের বশে স্ত্রীকে ১০ বার কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে   

মহিলাকে উদ্ধার করে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই মাকে  গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০৭ ধারায় (খুন)এর মামলা দায়ের করেছে।  এই প্রসঙ্গে, ডিসিপি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, শিশুটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিল এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ছিল।সুষমা নামক ওই মহিলা দুই মাস আগে একটি রেলস্টেশনে ওই শিশুটিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।তবে সেই সময় উনি সফল হননি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীর বায়ান অনুযায়ী, বাচ্চাটিকে পরে থাকতে দেখে  তিনি সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি  রিসাসিটেশন) দ্বারা শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু তাই করেছি যা আমি জানতাম।আমি সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিল।  অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করার পরিবর্তে,আমি শিশুটিকে একটি কম্বলে জড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

 

কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর। এটি একটি জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কৌশল। হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও কৃত্রিমভাবে তা কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করাকে সিপিআর বলা হয় পুলিশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান,আমি ওই মুহূর্তে জানতাম না বাচ্চাটা কার।ওই মুহূর্তে যেটা সঠিক মনে হয়েছে আমি তাই করেছি।যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্তও বাচ্চাটি বেঁচে ছিল, পরে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।