পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে ওই যুবক ফোন করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর স্থানীয় একটি স্কুলের পেছনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় মেয়েটির পরিবার তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। তখনই মেয়েটির মা স্কুলের পেছনে ছেঁড়া জামাকাপড়ে মেয়েকে বেরিয়ে আসতে দেখেন। তাঁর পাশেই ছিল এক নেশাগ্রস্ত যুবক।

নির্যাতিতার মা জানান, তিনি তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত যুবকের জামার কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং আটক রেখে খবর দেন থানায়। পরে কল্যাণী থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার সকালে নির্যাতিতার বাবা ও মা থানায় গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিগৃহীতার পরিবারের দাবি, মেয়ের চোখ, ঠোঁট, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রবিবার দুপুরে কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতিতার মা জানান, “রাত একটা নাগাদ ওই যুবক ফোন করে ওকে ডাকে। আমার মেয়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে ওকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করেছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ও ধর্ষণের ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশে প্রমাণ সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে।