১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরাসরি ‘মুখ্যমন্ত্রী’  কর্মসূচি নজরে আসার পরই ব্যবস্থাগ্রহণ,  হাইকোর্টে কমিশন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 34

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। দাখিল মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী” কর্মসূচি-সহ চারটি বিষয়ে লঙ্ঘিত হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একাধিক প্রশ্ন করে এদিনকার শুনানি পর্বে। এর পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, -‘অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে’।

এদিন রাজ্য নির্বাচন  কমিশন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা করে জানিয়েছে, -‘ ওই কর্মসূচির বিষয়টি গত ১৫ জুন কমিশনের নজরে আসার পরেই তড়িঘড়ি সেটা বন্ধ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়’।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শুনানি ১০ জুলাই

এছাড়াও ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয় নিয়ে আদালতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, -‘পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গাকে স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে’।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের, ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ

যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, -‘পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গা নয়, পুরো জেলাকেই স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচিত করতে হবে’।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ‘ডু অর ডাই’-এর ডাক সাংসদ পাপ্পু যাদবের

এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, -‘এ বিষয়ে আইজি বিএসএফ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’।পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ছিল তার হেল্পলাইন নম্বরেই চালু হয়েছিল এই কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কী ভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের গেরুয়া বিধায়ক। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরাসরি ‘মুখ্যমন্ত্রী’  কর্মসূচি নজরে আসার পরই ব্যবস্থাগ্রহণ,  হাইকোর্টে কমিশন

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। দাখিল মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী” কর্মসূচি-সহ চারটি বিষয়ে লঙ্ঘিত হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একাধিক প্রশ্ন করে এদিনকার শুনানি পর্বে। এর পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, -‘অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে’।

এদিন রাজ্য নির্বাচন  কমিশন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা করে জানিয়েছে, -‘ ওই কর্মসূচির বিষয়টি গত ১৫ জুন কমিশনের নজরে আসার পরেই তড়িঘড়ি সেটা বন্ধ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়’।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শুনানি ১০ জুলাই

এছাড়াও ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয় নিয়ে আদালতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, -‘পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গাকে স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে’।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের, ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ

যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, -‘পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গা নয়, পুরো জেলাকেই স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচিত করতে হবে’।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ‘ডু অর ডাই’-এর ডাক সাংসদ পাপ্পু যাদবের

এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, -‘এ বিষয়ে আইজি বিএসএফ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’।পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ছিল তার হেল্পলাইন নম্বরেই চালু হয়েছিল এই কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কী ভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের গেরুয়া বিধায়ক। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।