০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঙালির মাছ মন্তব্য মামলায় আইনি স্বস্তিতে অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 18

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের বাঙালির মাছ সংক্রান্ত মামলাটি। এদিন সাময়িক আইনি স্বস্তি পেলেন পরেশ। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন বলিউড  অভিনেতা পরেশ রাওয়াল । সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল এই অভিনেতাকে।

তবে এখনই সশরীরে কলকাতায় এসে হাজিরা দিতে হবে না,  পরেশ রাওয়ালকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গুজরাতে ভোট  প্রচারে গিয়ে বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আইনি স্বস্তি পেলেন কুড়মি প্রার্থীরা

তিনি ভরা সভায় বলেছিলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’ পরেশের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলে , শুরু হয় বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে নিলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি প্রবীণ অভিনেতার।

আরও পড়ুন: আইনি স্বস্তি, বগটুই-কাণ্ডে নিষ্পত্তি হাইকোর্টে

অভিনেতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ সেলিম। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরেশ রাওয়ালকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি হাজিরা নির্দেশ দেয় কলকাতা পুলিশ। তালতলা থানার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিনেতা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে পরেশের মামলার শুনানি চলে।

শুনানিতে এদিন অভিনেতার আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী দাবি করেন, ‘ তাঁর মক্কেল  কারওর মনে আঘাত করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। পরবর্তীকালে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন’। পরেশ রাওয়ালের আইনজীবীর এই দাবির পর বিচারপতি মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী শামিম আহমেদকে বলেন’ ,  উনি তো ক্ষমা চেয়েছেন, তাহলে সমস্যা কোথায়’?

বিচারপতির কাছে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চান শামিম বলে জানা গেছে ।এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘ পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তদন্তকারী অফিসাররা পরেশ রাওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন’। পুলিশের নোটিসের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে বলে জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাঙালির মাছ মন্তব্য মামলায় আইনি স্বস্তিতে অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের বাঙালির মাছ সংক্রান্ত মামলাটি। এদিন সাময়িক আইনি স্বস্তি পেলেন পরেশ। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন বলিউড  অভিনেতা পরেশ রাওয়াল । সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল এই অভিনেতাকে।

তবে এখনই সশরীরে কলকাতায় এসে হাজিরা দিতে হবে না,  পরেশ রাওয়ালকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গুজরাতে ভোট  প্রচারে গিয়ে বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আইনি স্বস্তি পেলেন কুড়মি প্রার্থীরা

তিনি ভরা সভায় বলেছিলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’ পরেশের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলে , শুরু হয় বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে নিলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি প্রবীণ অভিনেতার।

আরও পড়ুন: আইনি স্বস্তি, বগটুই-কাণ্ডে নিষ্পত্তি হাইকোর্টে

অভিনেতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ সেলিম। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরেশ রাওয়ালকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি হাজিরা নির্দেশ দেয় কলকাতা পুলিশ। তালতলা থানার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিনেতা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে পরেশের মামলার শুনানি চলে।

শুনানিতে এদিন অভিনেতার আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী দাবি করেন, ‘ তাঁর মক্কেল  কারওর মনে আঘাত করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। পরবর্তীকালে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন’। পরেশ রাওয়ালের আইনজীবীর এই দাবির পর বিচারপতি মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী শামিম আহমেদকে বলেন’ ,  উনি তো ক্ষমা চেয়েছেন, তাহলে সমস্যা কোথায়’?

বিচারপতির কাছে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চান শামিম বলে জানা গেছে ।এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘ পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তদন্তকারী অফিসাররা পরেশ রাওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন’। পুলিশের নোটিসের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে বলে জানা গেছে।