০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইচ্ছে মতো ওষুধ নয় জ্বর হলেই ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ, অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি পুরসভার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 58

পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে মাথাচাড়া দিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের কবলে পরে মৃত্যু হয়েছে পার্ক সার্কাসের এক শিশুর। গত তিন মাসে রাজ্যে এই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১১ জন শিশু। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক সারে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।

এরপরই বুধবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে ভাইরাস মোকাবেলায় হেলথঅফিসার থেকে শুরু করে আধিকারিকদের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস দিল্লিতে! তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি হওয়ায় স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে পুরসভার চিকিৎসক, নার্স, এন এম ও আশা কর্মী এবং পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের কাজ স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে রোগীকে সঙ্গে করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে বলে আশাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন চিপ মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার সুব্রত রায় চৌধুরী।

আরও পড়ুন: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার হাতে শংসাপত্র, তুলে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব

পুরসভার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশুদের জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কোনও ওষুধ যেন খাওয়ানো না হয়। এই নির্দেশিকায় চিকিৎসক, নার্স, এএনএম এবং আশা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: R.G. Kar মামলায় গতি! ৭ জন নার্সকে তলব সিবিআইয়ের

বলা হয়েছে, কলকাতা পুর এলাকার সমস্ত বাড়ি গিয়ে শিশুদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের। শিশুদের জ্বর হলে, তা কতদিন ধরে থাকছে, তার বিস্তারিত কেস হিস্ট্রি নিয়ে পুরসভাকে জানাতে হবে। বাড়িতে শিশুর জ্বর হলে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই বাড়ির অভিভাবকদের এই রোগের বিশেষ লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়ে আসবেন।

শিশুর অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে অভিভাবকদের। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মী নিজে রোগীকে নিয়ে আসবেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে রেফার করতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইচ্ছে মতো ওষুধ নয় জ্বর হলেই ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ, অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি পুরসভার

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে মাথাচাড়া দিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের কবলে পরে মৃত্যু হয়েছে পার্ক সার্কাসের এক শিশুর। গত তিন মাসে রাজ্যে এই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১১ জন শিশু। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক সারে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।

এরপরই বুধবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে ভাইরাস মোকাবেলায় হেলথঅফিসার থেকে শুরু করে আধিকারিকদের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস দিল্লিতে! তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি হওয়ায় স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে পুরসভার চিকিৎসক, নার্স, এন এম ও আশা কর্মী এবং পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের কাজ স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে রোগীকে সঙ্গে করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে বলে আশাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন চিপ মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার সুব্রত রায় চৌধুরী।

আরও পড়ুন: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার হাতে শংসাপত্র, তুলে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব

পুরসভার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশুদের জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কোনও ওষুধ যেন খাওয়ানো না হয়। এই নির্দেশিকায় চিকিৎসক, নার্স, এএনএম এবং আশা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: R.G. Kar মামলায় গতি! ৭ জন নার্সকে তলব সিবিআইয়ের

বলা হয়েছে, কলকাতা পুর এলাকার সমস্ত বাড়ি গিয়ে শিশুদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের। শিশুদের জ্বর হলে, তা কতদিন ধরে থাকছে, তার বিস্তারিত কেস হিস্ট্রি নিয়ে পুরসভাকে জানাতে হবে। বাড়িতে শিশুর জ্বর হলে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই বাড়ির অভিভাবকদের এই রোগের বিশেষ লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়ে আসবেন।

শিশুর অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে অভিভাবকদের। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মী নিজে রোগীকে নিয়ে আসবেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে রেফার করতে হবে।