১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার পর প্রথম আলো পৌঁছোল ছত্তিশগড়ের ১৭টি গ্রামে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 80

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  স্বাধীনতার পর প্রথমবার আলো জ্বলল গ্রামে। স্বপ্নেও ভাবেননি গ্রামবাসীরা যে আলোর মুখ দেখতে পারবেন। পাহাড় জঙ্গলঘেরা ছত্তিশগড়ের কাতুলঝোরা, কাট্টাপার, বুকমারকার গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্নপূরণ। স্বাধীনতার পর প্রথমবার ১৭টি গ্রামে জ্বলল বিদ্যুতের আলো। মাওবাদের ভয়াল সন্ত্রাস কেটে যাওয়ার পর সরকারের দৌলতে উন্নয়নের স্পর্শ লেগেছে গ্রামগুলিতে।

২০২৬ সালের মার্চ মাচের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে জোরকদমে শুরু হয়েছে‘অপারেশন সংকল্প’। মাওবাদী নিকেশের পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে শুরু হয়েছে উন্নয়নের কাজ। কাতুলঝোড়া, কাট্টাপার, বোদরা, বুকমারকা, সম্বলপুর, গাত্তেগাহান, পুগদা, আমাকোডো, পেটেমেটা, তাতেকাসা, কুন্ডলকাল, রাইমানহোরা, নাইনগুডা, মেটাতোডকে, কোহকাটোলা, এদাসমেটা এবং কুঞ্জকানহার নামক গ্রামগুলির বাসিন্দাদের কাছে এককালে বন্দুকের আওয়াজ ছিল নিত্যসঙ্গী। সেখানেই স্বাধীনতার পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মাজরাটোলা বিদ্যুৎকরণ যোজনার অধীনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে কাজ।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ফের মাওবাদী নিধন, নিহত দুই মহিলা মাওবাদী

মাওবাদের আতঙ্ক কাটার পর এই সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় ঢুকেও গিয়েছে বিদ্যুৎ। তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট। সরকারের এই প্রকল্পের জেরে উপকৃত হতে চলেছে অন্তত ৫৪০টি পরিবার। এই ১৭টি গ্রামের ৫৪০টি পরিবারের মধ্যে ২৭৫টি পরিবার ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে গিয়েছে। বাকি পরিবারগুলিও শীঘ্রই বিদ্যুৎ পেয়ে যাবে। বন দফতরের অনুমতি নেওয়ার পর তাতেকাসা গ্রামে ২৫ কেভিএ ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। সেখান থেকে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ১১ কেভি লাইন ও ৮৭টি বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়। ১৭টি গ্রামে আরও ১৭টি ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। সরকারের দাবি শীঘ্রই এখানকার বাকি অঞ্চলগুলিতেও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: খ্রিস্টানদের নির্যাতন নয়, বস্তারে হুঁশিয়ারি পোস্টার মাওবাদীদের

‘অপারেশন সংকল্প’-এর জেরে বিহার, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার মাও-অধ্যুষিত এলাকাগুলি থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে মাওবাদীরা আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় অবস্থিত কারেগুট্টা পাহাড়ে। আধিকারিকদের দাবি, গত ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: তৃনমূলের ঝাণ্ডা ধরলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি জঙ্গলমহলের মাওবাদী পোষ্টারে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতার পর প্রথম আলো পৌঁছোল ছত্তিশগড়ের ১৭টি গ্রামে

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  স্বাধীনতার পর প্রথমবার আলো জ্বলল গ্রামে। স্বপ্নেও ভাবেননি গ্রামবাসীরা যে আলোর মুখ দেখতে পারবেন। পাহাড় জঙ্গলঘেরা ছত্তিশগড়ের কাতুলঝোরা, কাট্টাপার, বুকমারকার গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্নপূরণ। স্বাধীনতার পর প্রথমবার ১৭টি গ্রামে জ্বলল বিদ্যুতের আলো। মাওবাদের ভয়াল সন্ত্রাস কেটে যাওয়ার পর সরকারের দৌলতে উন্নয়নের স্পর্শ লেগেছে গ্রামগুলিতে।

২০২৬ সালের মার্চ মাচের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে জোরকদমে শুরু হয়েছে‘অপারেশন সংকল্প’। মাওবাদী নিকেশের পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে শুরু হয়েছে উন্নয়নের কাজ। কাতুলঝোড়া, কাট্টাপার, বোদরা, বুকমারকা, সম্বলপুর, গাত্তেগাহান, পুগদা, আমাকোডো, পেটেমেটা, তাতেকাসা, কুন্ডলকাল, রাইমানহোরা, নাইনগুডা, মেটাতোডকে, কোহকাটোলা, এদাসমেটা এবং কুঞ্জকানহার নামক গ্রামগুলির বাসিন্দাদের কাছে এককালে বন্দুকের আওয়াজ ছিল নিত্যসঙ্গী। সেখানেই স্বাধীনতার পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মাজরাটোলা বিদ্যুৎকরণ যোজনার অধীনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে কাজ।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ফের মাওবাদী নিধন, নিহত দুই মহিলা মাওবাদী

মাওবাদের আতঙ্ক কাটার পর এই সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় ঢুকেও গিয়েছে বিদ্যুৎ। তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট। সরকারের এই প্রকল্পের জেরে উপকৃত হতে চলেছে অন্তত ৫৪০টি পরিবার। এই ১৭টি গ্রামের ৫৪০টি পরিবারের মধ্যে ২৭৫টি পরিবার ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে গিয়েছে। বাকি পরিবারগুলিও শীঘ্রই বিদ্যুৎ পেয়ে যাবে। বন দফতরের অনুমতি নেওয়ার পর তাতেকাসা গ্রামে ২৫ কেভিএ ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। সেখান থেকে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ১১ কেভি লাইন ও ৮৭টি বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়। ১৭টি গ্রামে আরও ১৭টি ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। সরকারের দাবি শীঘ্রই এখানকার বাকি অঞ্চলগুলিতেও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: খ্রিস্টানদের নির্যাতন নয়, বস্তারে হুঁশিয়ারি পোস্টার মাওবাদীদের

‘অপারেশন সংকল্প’-এর জেরে বিহার, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার মাও-অধ্যুষিত এলাকাগুলি থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে মাওবাদীরা আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় অবস্থিত কারেগুট্টা পাহাড়ে। আধিকারিকদের দাবি, গত ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: তৃনমূলের ঝাণ্ডা ধরলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি জঙ্গলমহলের মাওবাদী পোষ্টারে