প্রধানমন্ত্রী মোদি -র সঙ্গে বিমানবাহিনী প্রধান এ পি সিংহ -র বৈঠক, উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক

- আপডেট : ৪ মে ২০২৫, রবিবার
- / 150
পুবের কলম ডেস্ক: পাহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন চরম উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়েই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন তার আগের দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদি নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠীর সঙ্গে তাঁর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
পাহেলগাঁয়ের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু ঘটে, যার মধ্যে একজন নেপালি পর্যটক এবং একজন স্থানীয় ঘোড়সওয়ার ছিলেন। এই হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা পর্যালোচনা সভা আহ্বান করেন। ওই বৈঠকে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেন যে তারা প্রতিক্রিয়ার ধরন, লক্ষ্যবস্তু এবং সময় নির্ধারণ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা এর পরিকল্পনা করেছে, উভয়কেই কঠিন পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি (CCS) বৈঠকের সময় হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের যোগসূত্রের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হাত রয়েছে এই হামলার পেছনে।
সরকার ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহু দশকের পুরনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া, এবং পাকিস্তানের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলগুলোও সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। সব বিরোধী দল একজোট হয়ে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ ও জাতির নিরাপত্তার প্রশ্নে তারা সরকারের যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এরকম হামলা প্রতিহত করা যায়।
এই ঘটনার পর কূটনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।