মনোনয়ন জমা দিলেন আলিফা, মনে পড়ছে বাবার স্মৃতি

- আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
- / 116
শুভায়ুর রহমান প্রতিবেদক: দুপুর গড়ানোর অনেক আগে থেকেই পলাশির মীরা বাজারের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মী-সর্মথকেরা। ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীপুরুষ জমতে শুরু করেছেন। এই বাড়ি থেকেই তাঁর বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কতই না স্মৃতি। কিন্তু আজ বাবা নেই, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বাবাকে খুব মনে পড়ছে, কষ্ট হচ্ছে। তবে জনপ্রিয়তায় যে ভাঁটা পড়েনি। বাবার মতই মেয়েকেও ভালোবাসেন কালীগঞ্জবাসি, তা হাজার হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থকের উচ্ছ্বাসেই স্পষ্ট। মানুষ যেভাবে সাদরে আপন করেছেন তাতে বাবার অনুপস্থিতির কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হচ্ছে বললেন, কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ কন্যা আলিফা আহমেদ।
নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে বিধায়কশূন্য কালীগঞ্জে ১৯ জুন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার দল আলিফার নাম ঘোষণা দেয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মীরা বাজারের বাড়ি থেকে কালীগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিশাল বাইক মিছিল ছুটতে থাকে। পলাশির মীরা বাজার থেকে ব্লক অফিস দেবগ্রামের দূরত্ব মেরেকেটে দশ কিমি। ১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে অনেকটা সময় লেগে যায়। হুড খোলা জিপে চাপেন আলিফা আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, বিধায়ক রুকবানুর রহমান, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর প্রমুখ। উত্তর থেকে দক্ষিণে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বুক চিরে আলিফার গাড়ি যত এগোতে থাকে ততই মিছিল জনস্রোতে পরিণত হয়। মুহুর্মুহু শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছিল পরিবেশ। আলিফাকে দেখার জন্য জাতীয় সড়কের দু’ধারে মানুষ দাঁড়িয়ে যায়। ঘরকন্নার কাজ ফেলে মহিলাও হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানান।
সূর্য যখন মধ্যাকাশে তখন, নীল সাদা আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘও যেন আলিফাকে সম্বর্ধনা জানাচ্ছিল। ভোর থেকে নদিয়ায় যে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া দেখা দিয়েছিল তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে যায়। আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর আলিফা আহমেদ বলেন, দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সে মর্যাদা রক্ষা করব। বাবার স্মৃতি উস্কে বলেন, সত্যিই বাবাকে মনে পড়ছে।
বাবাকে কালীগঞ্জের মানুষ মনিকোঠায় রেখেছিলেন। সেই টান আমার মনোনয়নের দিনও প্রকাশ পেল। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। সকলেই দোয়া আশীর্বাদ দিচ্ছেন। ভোটে তো জিতবই শুধু মার্জিন কতটা বাড়াতে পারি সেই চেষ্টাই চালাচ্ছি।