১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিএইচপির অনুষ্ঠানে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 42

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শনিবারই অটলা মসজিদ সংক্রান্ত একটি মামলা ইলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে। আর রবিবারই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন উক্ত হাইকোর্টের বর্তমান দুই বিচারপতি। নাম দীনেশ পাঠক এবং শেখর কুমার যাদব।

জানা গেছে, হাইকোর্ট চত্বরেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ভারতে ওয়াকফ বিলের প্রয়োজনীয়তা, ইউনিফর্ম সিভিল  কোড (ইউসিসি) এবং ধর্মীয় ধর্মান্তকরণের কারণ ও প্রতিরোধের বিষয়ই ছিল প্রোগ্রামের মূল বিষয়বস্তু ছিল।

বলা বাহুল্য,  ২০২১ সালে এই বিচারপতি যাদবই  গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।  এবং গরু রক্ষাকে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা উচিত বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, চলতি বছর বিচারপতি শেখর কুমার  জানিয়েছিলেন, ভগবান রাম, ভগবান কৃষ্ণ, রামায়ণ, গীতা এবং তাদের লেখক মহর্ষি বাল্মীকি এবং মহর্ষি বেদ ব্যাস দেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং আইন পাসের মাধ্যমে তাদের জাতীয় সম্মান দেওয়া উচিত।

এই প্রেক্ষাপটে সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, এই অনুষ্ঠান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির চরম লঙ্ঘন। যে বিচারবিভাগ ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধানের শপথ পাঠ করে। সেই বিচারবিভাগের মুখ্য আধিকারিকদের এহেন অনুষ্ঠানে যোগদান অগ্রহণযোগ্য। এই অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে বিচারপতিরা  বিচারবিভাগকেই অসম্মান করলেন । এই ধরণের অনুষ্ঠান ভিন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হুমকি স্বরূপ। এটা লজ্জা। একজন বর্তমান বিচারপতি হয়ে এই ধরণের অনুষ্ঠানে শামিল হওয়া লজ্জাজনক।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভিএইচপির অনুষ্ঠানে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শনিবারই অটলা মসজিদ সংক্রান্ত একটি মামলা ইলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে। আর রবিবারই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন উক্ত হাইকোর্টের বর্তমান দুই বিচারপতি। নাম দীনেশ পাঠক এবং শেখর কুমার যাদব।

জানা গেছে, হাইকোর্ট চত্বরেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ভারতে ওয়াকফ বিলের প্রয়োজনীয়তা, ইউনিফর্ম সিভিল  কোড (ইউসিসি) এবং ধর্মীয় ধর্মান্তকরণের কারণ ও প্রতিরোধের বিষয়ই ছিল প্রোগ্রামের মূল বিষয়বস্তু ছিল।

বলা বাহুল্য,  ২০২১ সালে এই বিচারপতি যাদবই  গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।  এবং গরু রক্ষাকে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা উচিত বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, চলতি বছর বিচারপতি শেখর কুমার  জানিয়েছিলেন, ভগবান রাম, ভগবান কৃষ্ণ, রামায়ণ, গীতা এবং তাদের লেখক মহর্ষি বাল্মীকি এবং মহর্ষি বেদ ব্যাস দেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং আইন পাসের মাধ্যমে তাদের জাতীয় সম্মান দেওয়া উচিত।

এই প্রেক্ষাপটে সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, এই অনুষ্ঠান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির চরম লঙ্ঘন। যে বিচারবিভাগ ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধানের শপথ পাঠ করে। সেই বিচারবিভাগের মুখ্য আধিকারিকদের এহেন অনুষ্ঠানে যোগদান অগ্রহণযোগ্য। এই অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে বিচারপতিরা  বিচারবিভাগকেই অসম্মান করলেন । এই ধরণের অনুষ্ঠান ভিন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হুমকি স্বরূপ। এটা লজ্জা। একজন বর্তমান বিচারপতি হয়ে এই ধরণের অনুষ্ঠানে শামিল হওয়া লজ্জাজনক।