১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাহিত কন্যারাও মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য : Allahabad High Court

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 192

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সাধারণত কর্মরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে মৃতের পুত্রকে বা অবিবাহিত কন্যাকে সহানুভূতির নিরিখে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে (Married Daughter) তিনি আর এই সুযোগ পান না। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) দুই বিচারপতির এক ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এক রায়ে বলল, সহানুভূতির নিরিখে বিবাহিত কন্যারাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। বিচারপতি মনোজকুমার গুপ্ত এবং বিচারপতি রামমনোহর নারায়ণ মিশ্র তাঁদের রায়ে বলেন, বিবাহিত কন্যা পিতার উপর নির্ভরশীল ছিলেন কিনা এই প্রশ্নও এখানে অবান্তর। তাঁর অধিকারেই তিনি সহানুভূতির নিরিখে চাকরি পাবেন। এই রায় (Allahabad High Court) যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

 

আরও পড়ুন: এলাহাবাদ হাইকোর্টে সম্বল মসজিদ ভাঙার ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ

PM’s degree: প্রধানমন্ত্রী মোদির স্নাতকের ফল জানাতে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়: Delhi HC

আরও পড়ুন: ধর্মান্তরিত না হয়ে ভিনধর্মে বিয়ে অবৈধ: ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার ভাটপুর রানি তহসিলে বাঁকাটা ব্লকের অধীনে গাজাদাওয়া প্রি প্রাইমারি স্কুলের সহ শিক্ষক ছিলেন সম্পূর্ণানন্দ পাণ্ডে। ২০১৪ সালে কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর তাঁর মেয়ে চন্দা দেবী সহানুভূতির নিরিখে ওই চাকরি পেতে আবেদন করেন। ২ বছর পর জেলা শিক্ষা আধিকারিক চন্দা দেবী বিবাহিত বলে চাকরির আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। তখন চন্দা দেবী হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। ২০২৫ সালের মে মাসে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ চন্দার আবেদন খারিজ করে দেন।

সেই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বলেছিলেন, বিবাহিত কন্যাও সহানুভূতির নিরিখে বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর স্বামী বেকার এবং তিনি বাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাছাড়া ১১ বছর আগে তিনি মারা গিয়েছেন। এখন আর দাবি গ্রাহ্য হবে না। চন্দা দেবী তাতেও হার না মেনে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, চন্দা দেবী বাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন কিনা তা যাচাই না করেই আগের বিচারপতি তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিপদ ডেকে এনেছিলেন নির্যাতিতা নিজেই, ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য বিচারপতির

বিবাহিত কন্যারাও মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য : Allahabad High Court

 

তাই ওই যুক্তি আমরা মানছি না। তাছাড়া স্মৃতি বিমলা শ্রীবাস্তব বনাম উত্তরপ্রদেশ সরকারের মামলায় হাইকোর্ট আগেই রায় দিয়েছিল যে, বিবাহিত কন্যারাও সহানুভূতির নিরিখে (কম্প্যাসোনেট গ্রাউন্ডে) মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তাছাড়া চন্দা বাবার মৃত্যুর পরি আবেদন করেন। আদালত বিচারে দেরি করলে আবেদনকারী কেন দায়ী হবে? দেওরিয়া স্কুল শিক্ষা আধিকারিককে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিবাহিত কন্যারাও মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য : Allahabad High Court

আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সাধারণত কর্মরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে মৃতের পুত্রকে বা অবিবাহিত কন্যাকে সহানুভূতির নিরিখে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে (Married Daughter) তিনি আর এই সুযোগ পান না। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) দুই বিচারপতির এক ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এক রায়ে বলল, সহানুভূতির নিরিখে বিবাহিত কন্যারাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। বিচারপতি মনোজকুমার গুপ্ত এবং বিচারপতি রামমনোহর নারায়ণ মিশ্র তাঁদের রায়ে বলেন, বিবাহিত কন্যা পিতার উপর নির্ভরশীল ছিলেন কিনা এই প্রশ্নও এখানে অবান্তর। তাঁর অধিকারেই তিনি সহানুভূতির নিরিখে চাকরি পাবেন। এই রায় (Allahabad High Court) যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

 

আরও পড়ুন: এলাহাবাদ হাইকোর্টে সম্বল মসজিদ ভাঙার ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ

PM’s degree: প্রধানমন্ত্রী মোদির স্নাতকের ফল জানাতে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়: Delhi HC

আরও পড়ুন: ধর্মান্তরিত না হয়ে ভিনধর্মে বিয়ে অবৈধ: ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার ভাটপুর রানি তহসিলে বাঁকাটা ব্লকের অধীনে গাজাদাওয়া প্রি প্রাইমারি স্কুলের সহ শিক্ষক ছিলেন সম্পূর্ণানন্দ পাণ্ডে। ২০১৪ সালে কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর তাঁর মেয়ে চন্দা দেবী সহানুভূতির নিরিখে ওই চাকরি পেতে আবেদন করেন। ২ বছর পর জেলা শিক্ষা আধিকারিক চন্দা দেবী বিবাহিত বলে চাকরির আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। তখন চন্দা দেবী হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। ২০২৫ সালের মে মাসে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ চন্দার আবেদন খারিজ করে দেন।

সেই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বলেছিলেন, বিবাহিত কন্যাও সহানুভূতির নিরিখে বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর স্বামী বেকার এবং তিনি বাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাছাড়া ১১ বছর আগে তিনি মারা গিয়েছেন। এখন আর দাবি গ্রাহ্য হবে না। চন্দা দেবী তাতেও হার না মেনে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, চন্দা দেবী বাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন কিনা তা যাচাই না করেই আগের বিচারপতি তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিপদ ডেকে এনেছিলেন নির্যাতিতা নিজেই, ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য বিচারপতির

বিবাহিত কন্যারাও মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য : Allahabad High Court

 

তাই ওই যুক্তি আমরা মানছি না। তাছাড়া স্মৃতি বিমলা শ্রীবাস্তব বনাম উত্তরপ্রদেশ সরকারের মামলায় হাইকোর্ট আগেই রায় দিয়েছিল যে, বিবাহিত কন্যারাও সহানুভূতির নিরিখে (কম্প্যাসোনেট গ্রাউন্ডে) মৃত বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তাছাড়া চন্দা বাবার মৃত্যুর পরি আবেদন করেন। আদালত বিচারে দেরি করলে আবেদনকারী কেন দায়ী হবে? দেওরিয়া স্কুল শিক্ষা আধিকারিককে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।