২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ, দুই ERO-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 4

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জল্পনা বাড়ছে। তার মধ্যেই বাংলায় ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুর করার অভিযোগ উঠেছে দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-র বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না কেন্দ্রের দুই ইআরও ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

 

এই গুরুতর অভিযোগের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO)-এর দফতর বিষয়টি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত দুই অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন: বেপথ হলেই হস্তক্ষেপ, কমিশনকে নিবিড় সংস্কার নিয়ে শীর্ষ কোর্ট

 

আরও পড়ুন: বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে সংসদে তুমুল বিক্ষোভ বিরোধীদের

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Special Intensive Revision বা SIR) সময় খসড়া তালিকা থেকে প্রায় ৬১ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহে বাংলাতেও অগস্টের গোড়ায় SIR শুরু হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সম্ভাবনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজ্যের শাসকদল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কোনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ পড়লে তারা রাস্তায় নামবে।

আরও পড়ুন: কাল আট ইস্যুতে সংসদে সরব হবে ইন্ডিয়া ব্লকের ২৪ দল

 

SIR প্রক্রিয়ার আগে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকায় নাম থাকা ভোটারদের জন্য আপাত স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন, কারণ SIR প্রক্রিয়ায় তাঁদের নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা কম।

 

তবে SIR ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে, তখন দুই ERO-র বিরুদ্ধে ভুয়ো আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন নজর রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের দিকেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ, দুই ERO-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জল্পনা বাড়ছে। তার মধ্যেই বাংলায় ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুর করার অভিযোগ উঠেছে দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-র বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না কেন্দ্রের দুই ইআরও ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

 

এই গুরুতর অভিযোগের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO)-এর দফতর বিষয়টি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত দুই অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন: বেপথ হলেই হস্তক্ষেপ, কমিশনকে নিবিড় সংস্কার নিয়ে শীর্ষ কোর্ট

 

আরও পড়ুন: বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে সংসদে তুমুল বিক্ষোভ বিরোধীদের

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Special Intensive Revision বা SIR) সময় খসড়া তালিকা থেকে প্রায় ৬১ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহে বাংলাতেও অগস্টের গোড়ায় SIR শুরু হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সম্ভাবনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজ্যের শাসকদল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কোনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ পড়লে তারা রাস্তায় নামবে।

আরও পড়ুন: কাল আট ইস্যুতে সংসদে সরব হবে ইন্ডিয়া ব্লকের ২৪ দল

 

SIR প্রক্রিয়ার আগে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকায় নাম থাকা ভোটারদের জন্য আপাত স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন, কারণ SIR প্রক্রিয়ায় তাঁদের নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা কম।

 

তবে SIR ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে, তখন দুই ERO-র বিরুদ্ধে ভুয়ো আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন নজর রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের দিকেই।