০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমি দখলের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক টার্গেটের শিকার’ – মন্তব্য অমর্ত্য সেনের   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 120

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজনৈতিক টার্গেট করা হচ্ছে আমাকে।  জমি বিতর্কের কাণ্ডে এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গেল নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কাছ থেকে। অবৈধ ভাবে জমি দখলের অভিযোগে অমর্ত্য সেনকে আবারও চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাটি  প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে চুপ না থেকে অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ। তার দাবি, চিঠি দিয়ে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর স্টেট অফিসের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার জমি ফেরত দেওয়ার আবেদন করে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  জানিয়েছে, উনি বিশ্বভারতীর ১৩ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছেন। সমীক্ষার মাধ্যমে এই তথ্য জানতে পেরেছে তারা। ফলে সেই জমি শীঘ্রই ফিরিয়ে দেওয়ার  আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে। তবে বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগের ঘটনা প্রথমবার নয়। বছর দুয়েক আগেও নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ইইওসির তদন্তের মুখে টিসিএস

এমনকি সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সরাসরি অমর্ত্য সেনের নাম উল্লেখ না করে ‌‘জমি চোর’ বলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর এই মন্তবে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল থেকে রাজ্য জুড়ে। আপত্তিকর ভাষায় কটাক্ষ করায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের অনেকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে যার নামকরণ করেছিলেন, যিনি নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি বোলপুরবাসীও। বিষয়টি নিয়ে সে সময় সরব হন মুখ্যমন্ত্রীও। এ বিষয়ে অমর্ত্য সেনের পাশে রয়েছেন জানিয়ে চিঠিও দেন তিনি।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

পাশাপাশি বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেন অমর্ত্য সেন। তার বাড়ির ইতিহাস ব্যাখ্যা করে সরাসরি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। যদিও সেই আইনি পদক্ষেপকে উনি হাতিয়ার করতে চাইছে বলে পাল্টা মন্তব্য করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে: CAA নিয়ে সরব অমর্ত‌্য সেন

বিশ্বভারতীর দাবি, ঘটনাটি ২০০৬ সালে প্রকাশ্যে আসে। যখন অধ্যাপক সেন বাবার নামে থাকা লিজ নিজের নামে রেকর্ড করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করে। এরপর প্রায় চার দফায় এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয় তার।  বিশ্বভারতীর জমি নিজের বাড়ির ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে রয়েছে জানার পর অধ্যাপক সেন দখলে থাকা ১৩ ডেসিমেল জায়গা বাড়ির সামনে থেকে না নিয়ে, পেছন থেকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন বলেও দাবি করে  কর্তৃপক্ষ।

অমর্ত্য সেন বুধবার বলেছেন, তার ব্যবহৃত জায়গাটি ইজারা হিসেবে উল্লিখিত রয়েছে। তবে পুরো জমি তার বাবা আশুতোষ সেন কিনেছিলেন। সে কারণে জমি দখলের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জমি দখলের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক টার্গেটের শিকার’ – মন্তব্য অমর্ত্য সেনের   

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজনৈতিক টার্গেট করা হচ্ছে আমাকে।  জমি বিতর্কের কাণ্ডে এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গেল নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কাছ থেকে। অবৈধ ভাবে জমি দখলের অভিযোগে অমর্ত্য সেনকে আবারও চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাটি  প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে চুপ না থেকে অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ। তার দাবি, চিঠি দিয়ে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর স্টেট অফিসের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার জমি ফেরত দেওয়ার আবেদন করে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  জানিয়েছে, উনি বিশ্বভারতীর ১৩ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছেন। সমীক্ষার মাধ্যমে এই তথ্য জানতে পেরেছে তারা। ফলে সেই জমি শীঘ্রই ফিরিয়ে দেওয়ার  আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে। তবে বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগের ঘটনা প্রথমবার নয়। বছর দুয়েক আগেও নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ইইওসির তদন্তের মুখে টিসিএস

এমনকি সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সরাসরি অমর্ত্য সেনের নাম উল্লেখ না করে ‌‘জমি চোর’ বলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর এই মন্তবে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল থেকে রাজ্য জুড়ে। আপত্তিকর ভাষায় কটাক্ষ করায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের অনেকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে যার নামকরণ করেছিলেন, যিনি নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি বোলপুরবাসীও। বিষয়টি নিয়ে সে সময় সরব হন মুখ্যমন্ত্রীও। এ বিষয়ে অমর্ত্য সেনের পাশে রয়েছেন জানিয়ে চিঠিও দেন তিনি।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

পাশাপাশি বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেন অমর্ত্য সেন। তার বাড়ির ইতিহাস ব্যাখ্যা করে সরাসরি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। যদিও সেই আইনি পদক্ষেপকে উনি হাতিয়ার করতে চাইছে বলে পাল্টা মন্তব্য করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে: CAA নিয়ে সরব অমর্ত‌্য সেন

বিশ্বভারতীর দাবি, ঘটনাটি ২০০৬ সালে প্রকাশ্যে আসে। যখন অধ্যাপক সেন বাবার নামে থাকা লিজ নিজের নামে রেকর্ড করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করে। এরপর প্রায় চার দফায় এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয় তার।  বিশ্বভারতীর জমি নিজের বাড়ির ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে রয়েছে জানার পর অধ্যাপক সেন দখলে থাকা ১৩ ডেসিমেল জায়গা বাড়ির সামনে থেকে না নিয়ে, পেছন থেকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন বলেও দাবি করে  কর্তৃপক্ষ।

অমর্ত্য সেন বুধবার বলেছেন, তার ব্যবহৃত জায়গাটি ইজারা হিসেবে উল্লিখিত রয়েছে। তবে পুরো জমি তার বাবা আশুতোষ সেন কিনেছিলেন। সে কারণে জমি দখলের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।