ট্রাম্পের ঘোষণা: বাণিজ্যচুক্তি না হলে ১৫-২০% ‘বৈশ্বিক শুল্ক’ চাপাবে আমেরিকা

- আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 39
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যেসব দেশের সঙ্গে আলাদা করে বাণিজ্যচুক্তি হবে না, তাদের উপর ১৫-২০ শতাংশ হারে ‘ন্যূনতম বৈশ্বিক শুল্ক’ চাপাবে মার্কিন প্রশাসন—সোমবার এমনই স্পষ্ট বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এপ্রিল মাসে ট্রাম্প ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বললেও, এবার তা বাড়িয়ে ১৫-২০ শতাংশ করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।
স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে নিজের গল্ফ রিসর্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি জানান, শীঘ্রই ২০০টি দেশের উপর নতুন শুল্ক হার কার্যকর করতে চলেছে আমেরিকা। ট্রাম্পের ভাষায়, “এটি ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে থাকবে। হয়তো এই দুই হারের মধ্যে কোনও একটি চূড়ান্ত হবে। এটাই হবে আমাদের ‘গ্লোবাল ট্যারিফ’।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই বাণিজ্য ঘাটতি কমানোয় জোর দিয়েছেন। এপ্রিল মাসে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করলেও, তখন কিছু সময়সীমা বেঁধে দেশগুলিকে আলোচনার সুযোগ দেন তিনি। তবে এবার ১ অগস্ট থেকে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সময়সীমা আর বাড়বে না বলেই মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে আমেরিকা। এর মধ্যে রয়েছে:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: তিন বছরে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের জ্বালানি আমদানি ও ৬০ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের বিনিময়ে ১৫% শুল্কে রফতানির সুযোগ
জাপান: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন
ব্রিটেন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম: আংশিক বাণিজ্যচুক্তি
তবে ভারত সহ একাধিক দেশের সঙ্গে এখনও দর-কষাকষি চলছে। রয়টার্সের মতে, ১ অগস্টের সময়সীমার আগে নতুন করে বড় কোনও চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে, ব্রাজ়িলকে একতরফাভাবে ৩০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানাল হোয়াইট হাউস। বিষয়টি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে আলোড়ন ফেলেছে।
ট্রাম্প এ দিন ফের জানিয়ে দেন, তিনি জটিল চুক্তির বদলে সোজাসাপটা শুল্কনীতি-তেই বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “আমি ২০০টি দেশ নিয়ে আলাদা চুক্তি করব না। আমরা বাকি বিশ্বের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করছি। তারা যদি আমাদের বাজারে ব্যবসা করতে চায়, তবে নির্ধারিত শুল্ক দিতেই হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই কৌশল বিশ্ববাজারে আমেরিকার কর্তৃত্ব জাহির করার প্রয়াস, তবে এর প্রভাব পড়তে পারে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলির উপরও। ভারতের মতো উদীয়মান বাজারগুলির সঙ্গে চুক্তি না হলে, রফতানি খাতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।