মধ্যপ্রদেশে ফের মাওবাদী নিধন, নিহত দুই মহিলা মাওবাদী

- আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 75
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাওবাদী কামান্ডার রেণুকার এনকাউন্টারের পর মধ্যপ্রেদেশ ফের বড় সাফল্য। বুধবার সকালে ফের মাওবাদী নিকেশ। রাজ্য পুলিশের গুলিতে নিহত দুই ওয়ান্টেড মহিলা মাওবাদী ক্যাডার।মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ ডিজি পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “নিহত দুই মাওবাদী মহিলাদের মাথাপিছু ১৪ লক্ষ টাকা পুলস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মমতা এবং প্রমিলা নামে দুই মহিলা মাওবাদী ছত্তীশগড়ের বাসিন্দা। তাঁরা চরমপন্থী বামপন্থা কানহা-ভোরামদেব ডিভিশনের অংশ ছিলেন।এই দুই মাওবাদী মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীশগড়ের বালাঘাট, মণ্ডলা এবং কাওয়ার্ধা জেলায় সক্রিয় ছিলেন।”
আরও পড়ুন: কুণাল কামরাকে ফের সমন মুম্বই পুলিশের, এই নিয়ে ৩ বার সমন পাঠাল পুলিশ
বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ পূর্ব-মধ্য মধ্যপ্রদেশের মাণ্ডলা জেলার বিচিয়া থানা এলাকার ঘন জঙ্গলে পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং একটি ওয়্যারলেস সেট পাওয়া গেছে। ৪২ দিন ধরে চলা মধ্যপ্রদেশের মাওবাদী প্রভাবিত বালাঘাট, মণ্ডলা এবং দিন্দোরি জেলায় মাওবাদী অভিযানের এটি দ্বিতীয় বড় সাফল্য। এর আগে, ১৯ ফেব্রুয়ারি বালাঘাট জেলার সুপখার বনাঞ্চলে এনকাউন্টারে চার মহিলা মাওবাদী ক্যাডার নিহত হন।
মাওবাদী মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় জোনাল শাখার কানহা-ভোরামদেব বিভাগের সদস্য ছিলেন নিহত দুই মহিলা মাওবাদী। যা তিন রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সক্রিয়। বর্তমানে কেবি ডিভিশনে প্রায় ১০-১৫ জন সশস্ত্র ক্যাডার রয়েছে। যারা ২০১৯ সাল থেকে মধ্যপ্রদেশের কানহা জাতীয় উদ্যান এবং কাওর্ধার ভোরমদেব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কিছু অংশে সক্রিয় রয়েছে। ১০-১২ জন সশস্ত্র ক্যাডার নিয়ে কেবি ডিভিশন গঠিত। যার মধ্যে ৭-৮ জন মহিলা রয়েছে। বাকি ৩-৪ জন পুরুষ ক্যাডার। বিশেষ করে সুরেন্দ্র ওরফে কবির, রাকেশ এবং সমর। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, “মহারাষ্ট্র থেকে আগত সুরেন্দ্র ওরফে কবির কেবি ডিভিশন ক্যাডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে এক এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় প্রাক্তন প্রধান মিলিন্দ তেলতুম্বর।বর্তমানে এমএমসি জোনের নেতৃত্বে কবীর রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।”