দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরায় অনুব্রত কন্যা, সায়গল-সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা

- আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
- / 16
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জল্পনার শেষে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। মুখে কালো মাস্ক পরে হাজিরা দেন সুকন্যা। যাবতীয় নথি নিয়ে সকাল ১০ টা নাগাদ ইডি দফতরে আসেন তিনি। মনে করা হচ্ছে দুপুর পর্যন্ত এই জিজ্ঞাসাবাদ চলতে পারে। গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি।
এদিকে দিল্লিতে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷ ইডি সূত্রে খবর, প্রথমে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গলের সামনে বসিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সায়গলকে ইডি দফতরে আনার আগে তার মেডিক্যাল চেক আপ করা হয়।
গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। জেরার সময়ে তাঁর থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায় ইডি৷ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে চান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, গরু পাচারের টাকাই সুকন্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হত।
সায়গল হোসেনের সামনে বসিয়ে তারা কাকে কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, কিছুদিন আগে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে একটি নামের তালিকা জমা দিয়েছিল ইডি।
সেই তালিকায় নাম ছিল সুকন্যারও। এর পাশাপাশি সায়গলের মা, স্ত্রী এবং শ্যালককেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি৷
ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুকন্যাকে ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়। বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে তিনি ভিন্ রাজ্যে থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইডি-কে জানিয়েছিলেন। পরে সুকন্যাকে ইমেল করে আবার ২ নভেম্বর দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়।
জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, এবারেও হাজিরা এড়িয়ে যেতে পারেন সুকন্যা। কিন্তু বুধবার সকালে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা।