১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপাচার্য নিয়োগ: ১০২ জনের তালিকা রাজ্য সরকারকে জমা সার্চ কমিটির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 188

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য পদের ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন করে ‘সিলেক্ট’ করা হয়েছে। মোট ১০২ জনের নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিচ্ছে সার্চ কমিটি। সোমবারের মধ্যে এই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। এই তালিকায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক জন করে বাছাই করবে রাজ্য সরকার।

 

এরপর সেই তালিকা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে পাঠাবে রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল নিয়োগ লেটার দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। কোনও নামের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্যের মধ্যে মতপাথর্ক্য হলে, তাঁরা তা সুপ্রিম কোর্টকে জানাবেন।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এবং আদালতে মামলার কারণে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে থমকে যায় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে তৈরি হয় সার্চ কমিটি। নিয়োগের জন্য রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন জমা পড়ে ২ হাজার ৫০০ জন।  তবে এই সংখ্যার মধ্যে এক এক জন অধ্যাপক একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করেন।

১৮ অক্টোবর ইন্টারভিউ শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫ জনের সার্চ কমিটি রয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান ইউ ইউ ললিত। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটি ইন্টারভিউ নেয়। জানা গিয়েছে, স্থায়ী  উপাচার্যের জন্য ২৫০০ আবেদন করলেও সেই সংখ্যাটা ৪৫০ জনের মত। কারণ এক একজন ১ থেকে ২২টি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন।

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, উপাচার্য পদে আবেদনকারীর মধ্যে অনেক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকও রয়েছেন। কলকাতা, যাদবপুর, বর্ধমান,  বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ, রবীন্দ্রভারতী, আলিয়া এবং প্রেসিডেন্সির মতো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে। তুলনায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম আবেদন জমা পড়েছে।

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে যে পদক্ষেপ করা হয়, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি। এই আবহে রাজ্যপাল তথা আচার্যের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বহুবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের নজরে এনেছিল রাজ্য।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উপাচার্য নিয়োগ: ১০২ জনের তালিকা রাজ্য সরকারকে জমা সার্চ কমিটির

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য পদের ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন করে ‘সিলেক্ট’ করা হয়েছে। মোট ১০২ জনের নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিচ্ছে সার্চ কমিটি। সোমবারের মধ্যে এই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। এই তালিকায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক জন করে বাছাই করবে রাজ্য সরকার।

 

এরপর সেই তালিকা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে পাঠাবে রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল নিয়োগ লেটার দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। কোনও নামের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্যের মধ্যে মতপাথর্ক্য হলে, তাঁরা তা সুপ্রিম কোর্টকে জানাবেন।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এবং আদালতে মামলার কারণে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে থমকে যায় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে তৈরি হয় সার্চ কমিটি। নিয়োগের জন্য রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন জমা পড়ে ২ হাজার ৫০০ জন।  তবে এই সংখ্যার মধ্যে এক এক জন অধ্যাপক একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করেন।

১৮ অক্টোবর ইন্টারভিউ শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫ জনের সার্চ কমিটি রয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান ইউ ইউ ললিত। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটি ইন্টারভিউ নেয়। জানা গিয়েছে, স্থায়ী  উপাচার্যের জন্য ২৫০০ আবেদন করলেও সেই সংখ্যাটা ৪৫০ জনের মত। কারণ এক একজন ১ থেকে ২২টি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন।

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, উপাচার্য পদে আবেদনকারীর মধ্যে অনেক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকও রয়েছেন। কলকাতা, যাদবপুর, বর্ধমান,  বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ, রবীন্দ্রভারতী, আলিয়া এবং প্রেসিডেন্সির মতো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে। তুলনায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম আবেদন জমা পড়েছে।

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে যে পদক্ষেপ করা হয়, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি। এই আবহে রাজ্যপাল তথা আচার্যের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বহুবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের নজরে এনেছিল রাজ্য।