০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজেরি সেনা অবস্থানে হামলা চালাল আর্মেনিয়া হতাহত বহু; সীমান্তে ফের উত্তেজনা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 99

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ সীমান্তে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সেনা। মঙ্গলবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাবর্ষরে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সেনা হতাহত হলেও তাৎক্ষকি সংখ্যা জানা যায়নি।

 

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

সংঘর্ষে উসকানির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে দেশ দু’টি। এর আগে ২০২০ সালে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দুই দেশ। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে; আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী প্রথমে দাশকেসান; কেলবাজার ও লাচিনের সীমান্তে গোলাবর্ষ করে উসকানি দেয়।

আরও পড়ুন: বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর বাড়তি নজরদারি

আর্মেনিয়ার সেনা আজেরি সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে সীমান্ত সড়ক-সহ বিভিন্ন স্থানে মাইন পাতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজেরি সেনারা ব্যবস্থা নিতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও মর্টার শেল মারে আর্মেনীয় সেনারা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ ভারী কামান ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কিছু সেনা সদস্য নিহত হন।

আরও পড়ুন: আদানির প্রকল্পের জন্য পাক সীমান্তে নিয়ম শিথিলের! আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার বিজেপি সরকার  

 

এ দিকে পালটা অভিযোগ করে আর্মেনিয়া জানিয়েছে; আজারবাইজানের সেনারা সীমান্তের গোরিস; সক ও জারমুকে আর্মেনিয়ার সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গভীর রাতে গোলা নিক্ষেপ করেছে। এর জবাব দিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনা।

 

আর্মেনীয় সরকার জানিয়েছে; সর্বশেষ সংঘর্ষের বিষয়ে আর্মেনিয়ার প্রানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

 

উল্লেখ্য; সীমান্ত সংঘাত নিরসনে গত মে ও এপ্রিলে ব্রাসেলসে ইইউ-র ম্যস্থতায় দুই পক্ষের আলোচনা হয়। এতে আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তির বিষয়ে ‘আগাম আলোচনা’ করতে সম্মত হন। তা সত্ত্বেও নতুন করে সংঘর্ষে জড়ালো দেশ দু’টি।

১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে দু’দেশের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়। তখন উভয়পক্ষ সোভিয়েত শাসনের অধীনে ছিল এবং আর্মেনিয়ান বাহিনী নাগোর্নো-কারাবাখের কিছু অংশ দখল করে নেয়।

 

বিতর্কিত অঞ্চলটি দীর্ঘ সময় রে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃত। তবে অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ বাস করে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আজেরি সেনা অবস্থানে হামলা চালাল আর্মেনিয়া হতাহত বহু; সীমান্তে ফের উত্তেজনা

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ সীমান্তে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সেনা। মঙ্গলবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাবর্ষরে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সেনা হতাহত হলেও তাৎক্ষকি সংখ্যা জানা যায়নি।

 

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

সংঘর্ষে উসকানির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে দেশ দু’টি। এর আগে ২০২০ সালে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দুই দেশ। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে; আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী প্রথমে দাশকেসান; কেলবাজার ও লাচিনের সীমান্তে গোলাবর্ষ করে উসকানি দেয়।

আরও পড়ুন: বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর বাড়তি নজরদারি

আর্মেনিয়ার সেনা আজেরি সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে সীমান্ত সড়ক-সহ বিভিন্ন স্থানে মাইন পাতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজেরি সেনারা ব্যবস্থা নিতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও মর্টার শেল মারে আর্মেনীয় সেনারা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ ভারী কামান ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কিছু সেনা সদস্য নিহত হন।

আরও পড়ুন: আদানির প্রকল্পের জন্য পাক সীমান্তে নিয়ম শিথিলের! আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার বিজেপি সরকার  

 

এ দিকে পালটা অভিযোগ করে আর্মেনিয়া জানিয়েছে; আজারবাইজানের সেনারা সীমান্তের গোরিস; সক ও জারমুকে আর্মেনিয়ার সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গভীর রাতে গোলা নিক্ষেপ করেছে। এর জবাব দিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনা।

 

আর্মেনীয় সরকার জানিয়েছে; সর্বশেষ সংঘর্ষের বিষয়ে আর্মেনিয়ার প্রানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

 

উল্লেখ্য; সীমান্ত সংঘাত নিরসনে গত মে ও এপ্রিলে ব্রাসেলসে ইইউ-র ম্যস্থতায় দুই পক্ষের আলোচনা হয়। এতে আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তির বিষয়ে ‘আগাম আলোচনা’ করতে সম্মত হন। তা সত্ত্বেও নতুন করে সংঘর্ষে জড়ালো দেশ দু’টি।

১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে দু’দেশের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়। তখন উভয়পক্ষ সোভিয়েত শাসনের অধীনে ছিল এবং আর্মেনিয়ান বাহিনী নাগোর্নো-কারাবাখের কিছু অংশ দখল করে নেয়।

 

বিতর্কিত অঞ্চলটি দীর্ঘ সময় রে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃত। তবে অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ বাস করে।