১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের বিপাকে রাহুল গান্ধি! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 245

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের বিপাকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। শনিবার ঝাড়খণ্ডের চাঁইবাসা কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ২৬ জুন চাঁইবাসা এমপি-এমএলএ কোর্টে তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধির সশরীরে হাজিরার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় চাঁইবাসা আদালত।

২০১৮ সালের ঘটনা। ওই বছর ২৮ মার্চ কংগ্রেস অধিবেশনের রাহুল গান্ধি বিজেপিকে আক্রমণ করে ভাষণ দেন। সেই সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। কংগ্রেসের প্লেনারি বৈঠকে শাহকে নিশানা করেন তিনি। ‘খুনের মামলায়’ অভিযুক্ত একজন কী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন রাহুল। আর তার পরেই বিজেপি নেতা প্রতাপ কাটিয়ার ২০১৮ সালের ৯ জুলাই  চাঁইবাসা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলা ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে রাঁচির এমপি-এমএলএ কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখান থেকে মামলাটি ফের চাঁইবাসা কোর্টে পাঠানো হয়। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সমনও জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

উল্লেখ্য,  এর আগে বারবার রাহুলকে হাজিরার সমন পাঠানো হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। প্রথমে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারাতেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তখনও রাহুল হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপরে রাহুলের আইনজীবী ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরোয়ানা স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। ২০২৪-এর ২০ মার্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পরে রায়বরেলির সাংসদ সশরীরে হাজিরা থেকে বিরতি চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় চাঁইবাসা আদালত। আর এবার বিশেষ আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করল রাহুলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

এর আগেও রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ একটি মামলায় রাহুলকে দু’বছরের সাজা শোনায় সুরাত আদালত। রাতারাতি সাংসদ পদ বাতিল হয় বিরোধী দলনেতার। গুজরাত হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে রেহাই পান রাহুল গান্ধি। প্রতিহিংসা বশতই রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয় বলে কংগ্রেস সরব হয়। ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগও তোলে কংগ্রেস। এবার দেখার ২৬ জুন রাহুল গান্ধি হাজিরা দেন কিনা! আর ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়।

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের ডেডলাইনের কাছে মাথানত করবেন মোদি’, নিশানা রাহুলের

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের বিপাকে রাহুল গান্ধি! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের বিপাকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। শনিবার ঝাড়খণ্ডের চাঁইবাসা কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ২৬ জুন চাঁইবাসা এমপি-এমএলএ কোর্টে তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধির সশরীরে হাজিরার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় চাঁইবাসা আদালত।

২০১৮ সালের ঘটনা। ওই বছর ২৮ মার্চ কংগ্রেস অধিবেশনের রাহুল গান্ধি বিজেপিকে আক্রমণ করে ভাষণ দেন। সেই সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। কংগ্রেসের প্লেনারি বৈঠকে শাহকে নিশানা করেন তিনি। ‘খুনের মামলায়’ অভিযুক্ত একজন কী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন রাহুল। আর তার পরেই বিজেপি নেতা প্রতাপ কাটিয়ার ২০১৮ সালের ৯ জুলাই  চাঁইবাসা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলা ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে রাঁচির এমপি-এমএলএ কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখান থেকে মামলাটি ফের চাঁইবাসা কোর্টে পাঠানো হয়। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সমনও জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

উল্লেখ্য,  এর আগে বারবার রাহুলকে হাজিরার সমন পাঠানো হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। প্রথমে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারাতেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তখনও রাহুল হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপরে রাহুলের আইনজীবী ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরোয়ানা স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। ২০২৪-এর ২০ মার্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পরে রায়বরেলির সাংসদ সশরীরে হাজিরা থেকে বিরতি চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় চাঁইবাসা আদালত। আর এবার বিশেষ আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করল রাহুলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

এর আগেও রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ একটি মামলায় রাহুলকে দু’বছরের সাজা শোনায় সুরাত আদালত। রাতারাতি সাংসদ পদ বাতিল হয় বিরোধী দলনেতার। গুজরাত হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে রেহাই পান রাহুল গান্ধি। প্রতিহিংসা বশতই রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয় বলে কংগ্রেস সরব হয়। ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগও তোলে কংগ্রেস। এবার দেখার ২৬ জুন রাহুল গান্ধি হাজিরা দেন কিনা! আর ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়।

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের ডেডলাইনের কাছে মাথানত করবেন মোদি’, নিশানা রাহুলের