০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘন্টার মধ্যে ধৃত শিখ যুবকদের মুক্তি দিতে হবে, দাবি আকাল তখতের জাঠেদারের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 51

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আকাল তখতের জাঠেদার জ্ঞানী হরপ্রীত সিংহ রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বলেছেন, যে সমস্ত নিরীহ শিখ যুবকদেরকে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংয়ের সহযোগী বলে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

অন্যদিকে ,শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখতের জাঠেদারের অমৃতপাল সংক্রান্ত মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছে খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলি। অমৃতপালকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন জাঠেদার জ্ঞানী হরপ্রীত সিংহ। সেই সঙ্গে অমৃতপালকে ধরতে না পারায় পঞ্জাব পুলিশের সমালোচনাও করেন তিনি। পাশাপাশি পঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি শিখ সংগঠনের বৈঠক ডেকেছেন হরপ্রীত।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রাক্তন সদস্য ও ‘অকাল পুরখ কি ফৌজ’ সংগঠনের প্রধান যশবিন্দর সিংহের বক্তব্য, ‘‘কেবল কয়েকটি সংগঠনকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কি এই বৈঠকে সামগ্রিক শিখ আবেগ মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে?’’ প্রাক্তন জঙ্গি নেতা দালজিৎ সিংহ বিট্টু ও ডাল খালসার সভাপতি হরপাল সিংহ চিমার দাবি, হরপ্রীত সাম্প্রতিক ঘটনায় নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেননি।

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার বিশাল যাদব

অমৃতপালকে আত্মসমর্পণ করতে বলা তাঁর কাজ নয়। বরং ভগবন্ত মান সরকার যখন অমৃতপালের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু শিখ যুবককে গ্রেফতার করেছিল তখন তিনি কোনও প্রতিবাদ করেননি। বৈঠক ডেকেছেন ১০ দিন পরে। আবার আজনালা থানায় হামলার সময়ে অমৃতপালের সঙ্গীরা যখন শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে গিয়েছিল তখনও হরপ্রীত প্রতিবাদ করেননি। হরপ্রীতের ডাকা বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ না জানানোও শিখ নীতির বিরোধী বলে দাবি চিমার।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

তবে ধৃত শিখ যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা নিয়ে জাঠেদার সরব হওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আটক ৩৫৩ জনের মধ্যে ১৯৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষা আইনে আটক করা হয়েছে সাত জনকে। গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৪০ জন। অমৃতপালের আর এক সহযোগী বারিন্দর সিংহ ওরফে ফৌজিকেও মঙ্গলবার অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অমৃতপালের আট জন সঙ্গীকে অসমের জেলে সরানো হল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২৪ ঘন্টার মধ্যে ধৃত শিখ যুবকদের মুক্তি দিতে হবে, দাবি আকাল তখতের জাঠেদারের

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আকাল তখতের জাঠেদার জ্ঞানী হরপ্রীত সিংহ রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বলেছেন, যে সমস্ত নিরীহ শিখ যুবকদেরকে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংয়ের সহযোগী বলে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

অন্যদিকে ,শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখতের জাঠেদারের অমৃতপাল সংক্রান্ত মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছে খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলি। অমৃতপালকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন জাঠেদার জ্ঞানী হরপ্রীত সিংহ। সেই সঙ্গে অমৃতপালকে ধরতে না পারায় পঞ্জাব পুলিশের সমালোচনাও করেন তিনি। পাশাপাশি পঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি শিখ সংগঠনের বৈঠক ডেকেছেন হরপ্রীত।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রাক্তন সদস্য ও ‘অকাল পুরখ কি ফৌজ’ সংগঠনের প্রধান যশবিন্দর সিংহের বক্তব্য, ‘‘কেবল কয়েকটি সংগঠনকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কি এই বৈঠকে সামগ্রিক শিখ আবেগ মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে?’’ প্রাক্তন জঙ্গি নেতা দালজিৎ সিংহ বিট্টু ও ডাল খালসার সভাপতি হরপাল সিংহ চিমার দাবি, হরপ্রীত সাম্প্রতিক ঘটনায় নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেননি।

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার বিশাল যাদব

অমৃতপালকে আত্মসমর্পণ করতে বলা তাঁর কাজ নয়। বরং ভগবন্ত মান সরকার যখন অমৃতপালের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু শিখ যুবককে গ্রেফতার করেছিল তখন তিনি কোনও প্রতিবাদ করেননি। বৈঠক ডেকেছেন ১০ দিন পরে। আবার আজনালা থানায় হামলার সময়ে অমৃতপালের সঙ্গীরা যখন শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে গিয়েছিল তখনও হরপ্রীত প্রতিবাদ করেননি। হরপ্রীতের ডাকা বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ না জানানোও শিখ নীতির বিরোধী বলে দাবি চিমার।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

তবে ধৃত শিখ যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা নিয়ে জাঠেদার সরব হওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আটক ৩৫৩ জনের মধ্যে ১৯৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষা আইনে আটক করা হয়েছে সাত জনকে। গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৪০ জন। অমৃতপালের আর এক সহযোগী বারিন্দর সিংহ ওরফে ফৌজিকেও মঙ্গলবার অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অমৃতপালের আট জন সঙ্গীকে অসমের জেলে সরানো হল।