১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 103

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জাপানের নারা মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সফলভাবে তৈরি করেছেন কৃত্রিম রক্তকোষ, যা রক্তের গ্রুপ যাই হোক না কেন, সবার শরীরেই কাজ করতে পারে বলে দাবি তাদের। যদি এই গবেষণা সফল হয়, তবে ভবিষ্যতে আর রক্তের জন্য হাহাকার হবে না;সব রক্তের গ্রুপেই মিলবে জীবনরক্ষার সমাধান।

রক্তের বিকল্প খোঁজার চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই কাজ করে চলেছেন। ২০২০ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ-এর একটি গবেষণাতেও কৃত্রিম রক্তের সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছিল। ২০২২ সালে বিরল রক্তের গ্রুপের কয়েকজনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধরনের রক্ত প্রয়োগও করা হয়েছিল। তবে তখন পর্যন্ত রক্তকোষগুলিকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা বা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: জাপানে প্রথমবার ৭ লক্ষের নিচে জন্মহার, উদ্বেগে সরকার

এই অবস্থায় হিরোমি সাকাই-এর নেতৃত্বে জাপানি গবেষকেরা এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। তাঁদের দাবি, দাতার শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের আয়ু যেখানে মাত্র ৪২ দিন, সেখানে ল্যাবে তৈরি কৃত্রিম রক্ত অনেক বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক ধাপে ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ১০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার কৃত্রিম রক্ত প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে, শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। চলছে মানবদেহে দফায় দফায় ট্রায়াল।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

এই কৃত্রিম রক্ত দেখতে একেবারে লোহিত কণিকার মতো না হলেও, এর কার্যক্ষমতা মূল রক্তের মতোই;অর্থাৎ এটি শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহন করতে পারবে বলে আশ্বাস বিজ্ঞানীদের। বিশেষ করে যেসব রোগীর বিরল রক্তের গ্রুপ, বড় অস্ত্রোপচার বা দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক রক্তের প্রয়োজন হয়, সেখানে এই কৃত্রিম রক্ত হতে পারে এক ঐতিহাসিক সমাধান।

আরও পড়ুন: ফের ‘চর উপগ্রহ’ উৎক্ষেপণ করবে উত্তর কোরিয়া

তবে পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। গবেষকেরা স্বীকার করছেন, কৃত্রিম রক্ত শরীরে প্রবেশ করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে কি না, স্বাভাবিক রক্তের সঙ্গে মিশে জটিলতা তৈরি করবে কি না;এসব বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জাপানের নারা মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সফলভাবে তৈরি করেছেন কৃত্রিম রক্তকোষ, যা রক্তের গ্রুপ যাই হোক না কেন, সবার শরীরেই কাজ করতে পারে বলে দাবি তাদের। যদি এই গবেষণা সফল হয়, তবে ভবিষ্যতে আর রক্তের জন্য হাহাকার হবে না;সব রক্তের গ্রুপেই মিলবে জীবনরক্ষার সমাধান।

রক্তের বিকল্প খোঁজার চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই কাজ করে চলেছেন। ২০২০ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ-এর একটি গবেষণাতেও কৃত্রিম রক্তের সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছিল। ২০২২ সালে বিরল রক্তের গ্রুপের কয়েকজনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধরনের রক্ত প্রয়োগও করা হয়েছিল। তবে তখন পর্যন্ত রক্তকোষগুলিকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা বা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: জাপানে প্রথমবার ৭ লক্ষের নিচে জন্মহার, উদ্বেগে সরকার

এই অবস্থায় হিরোমি সাকাই-এর নেতৃত্বে জাপানি গবেষকেরা এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। তাঁদের দাবি, দাতার শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের আয়ু যেখানে মাত্র ৪২ দিন, সেখানে ল্যাবে তৈরি কৃত্রিম রক্ত অনেক বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক ধাপে ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ১০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার কৃত্রিম রক্ত প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে, শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। চলছে মানবদেহে দফায় দফায় ট্রায়াল।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

এই কৃত্রিম রক্ত দেখতে একেবারে লোহিত কণিকার মতো না হলেও, এর কার্যক্ষমতা মূল রক্তের মতোই;অর্থাৎ এটি শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহন করতে পারবে বলে আশ্বাস বিজ্ঞানীদের। বিশেষ করে যেসব রোগীর বিরল রক্তের গ্রুপ, বড় অস্ত্রোপচার বা দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক রক্তের প্রয়োজন হয়, সেখানে এই কৃত্রিম রক্ত হতে পারে এক ঐতিহাসিক সমাধান।

আরও পড়ুন: ফের ‘চর উপগ্রহ’ উৎক্ষেপণ করবে উত্তর কোরিয়া

তবে পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। গবেষকেরা স্বীকার করছেন, কৃত্রিম রক্ত শরীরে প্রবেশ করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে কি না, স্বাভাবিক রক্তের সঙ্গে মিশে জটিলতা তৈরি করবে কি না;এসব বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।