০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদানের বাজারে সেনার হামলায় নিহত অন্তত ৩০

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
  • / 244

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  সুদানের ওমদুরমানের একটি বাজারে দেশটির সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। আধা-সামরিক রাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই চলছিল ওই এলাকায়। এ সময় সেনা নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি থেকে গোলা ছোঁড়া হয়েছিল। একজন সবজি বিক্রেতা জানান, নিহতের বেশির ভাগই বাজারে পণ্য চুরি করতে আসা মানুষ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানে দ্রুত বেড়েছে খাদ্যের দাম। ওমদুরমান, খার্তুম ও বাহরির বাসিন্দারা এখন তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছেন। ওই সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজার খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বিকালে। এখানে এলেই আপনি গোলার আঘাতে মারা যেতে পারেন। অন্য এক সবজি বিক্রেতা জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছু মৃতদেহ অনাবৃতই পড়েছিল। শুধু শিশুদের মরদেহ খালি বাক্স দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। সুদানের অন্যান্য প্রধান শহরের মতো ১৫ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘর্ষে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওমদুরমানের বেশিরভাগ অংশ। বাজারের চারপাশের সড়ক এখন সেনাবাহিনীর স্নাইপারদের দখলে। এর আগে গত ৮ জুলাই বিমান হামলায় ওমদুরমানের দার এস সালাম পাড়ায় ৩৮ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে আরএসএফ। পরদিনই এক মসজিদে বিমান হামলায় এক পরিবারের নয়জন নিহত হন। ওই পরিবারের প্রধান ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন। এদিকে পশ্চিম দারফুরে গণকবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। গণকবর থেকে কমপক্ষে ৮৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুদানের বাজারে সেনার হামলায় নিহত অন্তত ৩০

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  সুদানের ওমদুরমানের একটি বাজারে দেশটির সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। আধা-সামরিক রাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই চলছিল ওই এলাকায়। এ সময় সেনা নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি থেকে গোলা ছোঁড়া হয়েছিল। একজন সবজি বিক্রেতা জানান, নিহতের বেশির ভাগই বাজারে পণ্য চুরি করতে আসা মানুষ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানে দ্রুত বেড়েছে খাদ্যের দাম। ওমদুরমান, খার্তুম ও বাহরির বাসিন্দারা এখন তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছেন। ওই সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজার খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বিকালে। এখানে এলেই আপনি গোলার আঘাতে মারা যেতে পারেন। অন্য এক সবজি বিক্রেতা জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছু মৃতদেহ অনাবৃতই পড়েছিল। শুধু শিশুদের মরদেহ খালি বাক্স দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। সুদানের অন্যান্য প্রধান শহরের মতো ১৫ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘর্ষে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওমদুরমানের বেশিরভাগ অংশ। বাজারের চারপাশের সড়ক এখন সেনাবাহিনীর স্নাইপারদের দখলে। এর আগে গত ৮ জুলাই বিমান হামলায় ওমদুরমানের দার এস সালাম পাড়ায় ৩৮ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে আরএসএফ। পরদিনই এক মসজিদে বিমান হামলায় এক পরিবারের নয়জন নিহত হন। ওই পরিবারের প্রধান ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন। এদিকে পশ্চিম দারফুরে গণকবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। গণকবর থেকে কমপক্ষে ৮৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।