০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

CP-র গাড়িকে বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকের চেষ্টা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 33

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভারতীয় সেনার ট্রাক আটকাল কলকাতা পুলিশ৷ মহাকরণের সামনে কলকাতা পুলিশের নগরপাল (Commissioner of the Kolkata Police) মনোজ ভার্মার গাড়ি বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করার চেষ্টার অভিযোগ৷ সঙ্গে-সঙ্গে সেনার ট্রাকটিকে আটকায় সিগন্যালে কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট৷ কলকাতা পুলিশের তরফে এই সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ওই সিগন্যাল থেকে রাইট-টার্ন ছিল না-বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

অন্যদিকে, সেনার ট্রাকটিকে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ সেখানে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ পৌঁছলে, ট্রাক থেকে দুই সেনাকর্মী নেমে আসেন৷ প্রায় আধঘণ্টা পরে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান৷ তাঁরা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন৷

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ফুটেজ খতিয়ে দেখে ‘অ্যাকশন’ জানালেন সিপি

উল্লেখ্য, সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে দেয় ভারতীয় সেনা৷ অভিযোগ ওঠে, অনুমতি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মঞ্চ খোলা হয়নি৷ তাই ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনার কর্মীরা এসে মঞ্চ ও ব্যানার খুলে দেয় ৷ পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের শীর্ষনেতারা সেখানে উপস্থিত হন৷ এ নিয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা৷ অভিযোগ করেন, বিজেপির কথায় চলছে ভারতীয় সেনা৷ যা নিয়ে চরমে ওঠে বিতর্ক৷ যদিও সেনার তরফে দাবি করা হয়, মঞ্চের জন্য অনুমতির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়াতেই মঞ্চ খুলে ফেলা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত কমপক্ষে ১৫, ঘটনাস্থলে ফিরহাদ হাকিম

সেই ঘটনার ঠিক পরেরদিন কলকাতা পুলিশ বনাম ভারতীয় সেনার দ্বন্দ্ব ! কলকাতা পুলিশের তরফে ট্রাফিক সিগন্যালের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে৷ সঙ্গে বলা হয়েছে, সেনার ট্রাকটি রাস্তার বাঁ-দিক ধরে আসছিল৷ আর তার ঠিক পিছনেই ছিল কলকাতা পুলিশের নগরপালের (Commissioner of the Kolkata Police) কনভয়৷ অভিযোগ, সিগন্যালের সামনে আসতেই ট্রাকটি ডানদিকে টার্ন নেয়৷ সেই সময় দ্রুত গতিতে থাকা সিপি-র গাড়ি কোনও মতে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়৷ সঙ্গে-সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের তরফে সেনার ট্রাকটিকে আটক করা হয়৷

ট্রাক যে সেনাকর্মী চালাচ্ছিলেন তিনি বলেন, আমরা সোজা আসছিলাম৷ আমরা পাসপোর্ট অফিস যাচ্ছিলাম৷ সিগন্যাল খোলা ছিল৷ সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়ে নামতে হতো আমাদের৷ কারণ বাঁ-দিকে দাঁড় করানো যেত না৷ যখন ডানদিক ঘুরে যাই, তখনই সিপি স্যারের গাড়ি ক্রস করে৷ সিপি স্যারের কনভয় ছিল, সেটা জানতাম না।

তবে, ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ট্রাকটিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেনা আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত হয়েছেন৷ তাঁরা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সেনার ওই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মোটর ভেহিক্যাল আইনে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ৷ লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গাড়িটি সিগন্যাল অমান্য করে বেপরোয়াভাবে আসছিল৷ যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো৷

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

CP-র গাড়িকে বিপজ্জনকভাবে ওভারটেকের চেষ্টা

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভারতীয় সেনার ট্রাক আটকাল কলকাতা পুলিশ৷ মহাকরণের সামনে কলকাতা পুলিশের নগরপাল (Commissioner of the Kolkata Police) মনোজ ভার্মার গাড়ি বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করার চেষ্টার অভিযোগ৷ সঙ্গে-সঙ্গে সেনার ট্রাকটিকে আটকায় সিগন্যালে কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট৷ কলকাতা পুলিশের তরফে এই সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ওই সিগন্যাল থেকে রাইট-টার্ন ছিল না-বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

অন্যদিকে, সেনার ট্রাকটিকে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ সেখানে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ পৌঁছলে, ট্রাক থেকে দুই সেনাকর্মী নেমে আসেন৷ প্রায় আধঘণ্টা পরে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান৷ তাঁরা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন৷

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ফুটেজ খতিয়ে দেখে ‘অ্যাকশন’ জানালেন সিপি

উল্লেখ্য, সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে দেয় ভারতীয় সেনা৷ অভিযোগ ওঠে, অনুমতি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মঞ্চ খোলা হয়নি৷ তাই ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনার কর্মীরা এসে মঞ্চ ও ব্যানার খুলে দেয় ৷ পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের শীর্ষনেতারা সেখানে উপস্থিত হন৷ এ নিয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা৷ অভিযোগ করেন, বিজেপির কথায় চলছে ভারতীয় সেনা৷ যা নিয়ে চরমে ওঠে বিতর্ক৷ যদিও সেনার তরফে দাবি করা হয়, মঞ্চের জন্য অনুমতির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়াতেই মঞ্চ খুলে ফেলা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত কমপক্ষে ১৫, ঘটনাস্থলে ফিরহাদ হাকিম

সেই ঘটনার ঠিক পরেরদিন কলকাতা পুলিশ বনাম ভারতীয় সেনার দ্বন্দ্ব ! কলকাতা পুলিশের তরফে ট্রাফিক সিগন্যালের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে৷ সঙ্গে বলা হয়েছে, সেনার ট্রাকটি রাস্তার বাঁ-দিক ধরে আসছিল৷ আর তার ঠিক পিছনেই ছিল কলকাতা পুলিশের নগরপালের (Commissioner of the Kolkata Police) কনভয়৷ অভিযোগ, সিগন্যালের সামনে আসতেই ট্রাকটি ডানদিকে টার্ন নেয়৷ সেই সময় দ্রুত গতিতে থাকা সিপি-র গাড়ি কোনও মতে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়৷ সঙ্গে-সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের তরফে সেনার ট্রাকটিকে আটক করা হয়৷

ট্রাক যে সেনাকর্মী চালাচ্ছিলেন তিনি বলেন, আমরা সোজা আসছিলাম৷ আমরা পাসপোর্ট অফিস যাচ্ছিলাম৷ সিগন্যাল খোলা ছিল৷ সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়ে নামতে হতো আমাদের৷ কারণ বাঁ-দিকে দাঁড় করানো যেত না৷ যখন ডানদিক ঘুরে যাই, তখনই সিপি স্যারের গাড়ি ক্রস করে৷ সিপি স্যারের কনভয় ছিল, সেটা জানতাম না।

তবে, ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ট্রাকটিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেনা আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত হয়েছেন৷ তাঁরা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সেনার ওই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মোটর ভেহিক্যাল আইনে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ৷ লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গাড়িটি সিগন্যাল অমান্য করে বেপরোয়াভাবে আসছিল৷ যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো৷